বিজ্ঞাপন

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল খেলাঘর

March 4, 2018 | 6:11 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্যটা ছিল ১৮৯ রানের। সেটা তাড়া করে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৭ রান তুলে ফেলেছিল খেলাঘর। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচটা জিতল অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, শেষ ওভারে গিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে আর ৩ বল হাতে রেখে। প্রিমিয়ার লিগে সাত ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়, আর সমান ম্যাচে এটি ব্রাদার্সের চতুর্থ পরাজয়।

খেলাঘরের দুই ওপেনার সাদিকুর ও রাফসান যতক্ষণ ব্যাট করছিলেন, জয়ের গন্তব্যটা খুব কাছে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৬৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পরেই পথ হারিয়ে বসে খেলাঘর। এরপর ২২ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে আরও ৪ উইকেট।

৯৯ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হাল ধরেন অশোক মানেরিয়া। পঞ্চম উইকেটে মঈনুলকে নিয়ে যোগ করেন ৬০ রান, খেলাঘরের জয়ও তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় অনেকটাই। দলের ১৫৯ রানে মঈনুল আউট হয়ে গেলেও মানেরিয়া ফিফটি করেই থেমেছেন। ৫৫ রান করে যখন আউট হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর আরও ১ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপটা আর বাড়াতে দেয়নি খেলাঘর। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ২ রান এসে গেছে তিন বল হাতে রেখেই।

তার আগে শুরুতে ব্যাট করে ৪৬ ওভারেই ব্রাদার্স অলআউট হয়ে যায় ১৮৭ রানে। শুরুতেই জোড়া হোঁচট খায় ব্রাদার্স, ১৮ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার। দেবব্রত ও জুনাইদ সিদ্দিকী শুরুটা ভালো করলেও দুজনেই আউট হয়ে গেছেন ২১ রানে। একটা সময় ১১৫ রানের ভেতর পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে খেলাঘর।

কিন্তু তাদের রান এরপরও ২০০ অন্তত হতেই পারত। অলক কাপালি যতক্ষণ ছিলেন, ততক্ষণ সেরকমই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৮৩ বলে ৬৬ রানে অলকের আউটেই যেন ধ্বস নামে ব্রাদার্সের। ১৬৫ রানে যখন ৬ উইকেট হারায়, তখনও বাকি ছিল ৮ ওভার। কিন্তু ব্রাদার্স মাত্র ৪ ওভার খেলেই হারিয়ে ফেলে শেষ ৪ উইকেট। ২৪ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন মাত্র অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসা হাসান মাহমুদ। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা গেছে মানেরিয়ার হাতেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন