বিজ্ঞাপন

মাহাথিরের শেষ লড়াই— এর পরে কী?

June 4, 2020 | 7:48 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় ‘ডা. এম’ নামে অধিক পরিচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ৯৫ বছর বয়েসে এসেও নিয়মিত পত্রিকার শিরোনাম হচ্ছেন। মহামারি করোনাভাইরাসের এ সময়েও মালয়েশিয়াসহ এ অঞ্চলের খবরে বড় জায়গা দখল করে রেখেছেন মাহাথির মোহাম্মদ। নব্বই উর্ধ্ব মাহাথির মোহাম্মদ এখনও রাজনৈতিক অঙ্গনে শুধু একটি নামই নয়, একজন তুমুল ব্যস্ত খেলোয়াড়ও। এখনও তিনি মালয়েশিয়ার ক্ষমতার লড়াইয়ে অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছেন।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের কারণে সাত সপ্তাহ ধরে চলা লকডাউন গত ৪ মে শিথিল করে মালয়েশিয়া সরকার।  আর মাহাথির মোহাম্মদ তার সর্বশেষ রাজনৈতিক চালটি চালতে ঠিক এই সময়টাকেই যেন বেছে নিয়েছেন। মে মাসের ৯ তারিখ মাহাথির তার এক সময়ের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম একসঙ্গে মিলে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন। এতে তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মহিদ্দিন ইয়াসিনকে পদচ্যুত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

ওই বিবৃতিতে দুই নেতা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় যেমনটা ঘটছে, তাতে আমরা এই সরকারকে স্বীকার করি না। এই সরকার গঠনের প্রথম দিন থেকেই আমাদের নীতি পরিষ্কার— তা হলো এই সরকার জনগণের মেন্ডেটের সরকার নয়।’

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করেন মাহাথির যা ১৮ মে সংসদে উত্থাপিত হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী মহিদ্দিন সে সময় তা ঠেকিয়ে দেন। তিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকারকে রাজা আব্দুল্লাহ’র ভাষণের পর অধিবেশন মুলতবি করার নির্দেশ দেন।  ওই দিন মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই সংসদের অধিবেশন শেষ হয়। অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক সংসদের পরবর্তী অধিবেশন পর্যন্ত মুলতবী রাখা হয়। আগামী জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে পরবর্তী অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মহিদ্দিন অবশ্য করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সফলতা অর্জন করেছেন।  মে মাসের শেষ নাগাদ মালয়েশিয়ায় প্রায় ৮ হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের কিছু বেশি। এই সংখ্যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম। গত মার্চে মহিউদ্দিন দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার সরকার দায়িত্ব নেয়। করোনা মোকাবিলার যুদ্ধে নামার জন্য তিনি খুব কম সময়ই পেয়েছিলেন।

পড়ুন-  মাহাথির নয়, মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী ইয়াসিন

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘পোলস্টার ইউগভ’ করোনাভাইরাসের সময় বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কেমন তা জানতে ২৬টি দেশে একটি জরিপ চালায়। এতে দেখা যায় মালয়েশিয়া সরকার তালিকায় শুধুমাত্র ভিয়েতনামের পিছনে অর্থাৎ দুই নম্বরে রয়েছে। দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ মনে করছেন করোনাভাইরাস মহামারি দমনে বর্তমান সরকার অত্যন্ত সফল। ঠিক এমন এক সময়ে যখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দেশবাসীর আস্থা তুঙ্গে তখন কেন মাহাথির ক্রমাগত সমালোচনা করছেন?

বিজ্ঞাপন

মাহাথির এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার সাবেক দল ‘ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গেনাইজেশন’কে (ইউএমএনও) হারিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাককে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ওই সময় তিনি প্রতিপক্ষ আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট গড়েন। ওই নির্বাচনে জিতে মহাথির ১৫ বছর পর আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দুই বছর পর প্রধানমন্ত্রী পদ আনোয়ার ইব্রাহিমের  জন্য ছেড়ে দেবেন। এমন এক সমঝোতার মাধ্যমেই মাহাথির ও আনোয়ার জোট গড়েছিলেন।

তবে ঠিক কখন, কবে ক্ষমতা ছাড়বেন সে সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট সময় কখনই উচ্চারণ করেননি মাহাথির। এতে ক্ষমতাসীন জোটে কিছুদিন পরই সমালোচনা শুরু হয়। ঠিক সেসময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মহিদ্দিন যিনি মাহাথিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তিনি ক্ষমতার পরবর্তী দাবীদার আনোয়ার ইব্রাহিমকে পথ থেকে সরানোর সুযোগটি কাজে লাগালেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি মালয়েশিয়ার রাজাকে ক্ষমতাসীন জোট পুনর্গঠন করতে ‘ইউনাইটেড মালায়স ন্যাশনাল অর্গেনাইজেশন’কে ফের ক্ষমতাসীন জোটের শিবিরে যুক্ত করার জন্য পরামর্শ দিলেন।

এমন তৎপরতার কারণে মাহাথির তখন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তাফা দেন। তিনি তার সাবেক দলটির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে মোটেও ইচ্ছুক ছিলেন না। তবে পদত্যাগ করার পরপরই তার আশ্চর্যজনক পদক্ষেপটি ছিল— ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে তিনি ফের ক্ষমতায় বসতে চাইলেন। এতে তিনি সমালোচিত হলেন। এর ফলে মাহাথির নিজেও কিছুটা দুর্বল হলেন আর আনোয়ার ইব্রাহিমও দৃশ্যপট থেকে কিছুটা দূরে সরে গেলেন। এমন পরিস্থিতি মহিদ্দিন ইয়াসিনকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার সুযোগ এনে দিলো।

এসব দ্বন্দ্বের মধ্যেই, মালয়েশিয়ার রাজা— যিনি প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন করার অধিকার রাখেন, তিনি সংসদ সদস্যদের একটি সভা ডাকলেন। সেসময় রাজা মহিদ্দিন ইয়াসিনকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন। রাজা জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে সবচেয়ে বেশি সংসদ সদস্যের সমর্থন অর্জন করেছেন মহিদ্দিন। তখন মাহাথির মোহাম্মদ তার পক্ষে সর্বাধিক সদস্যের সমর্থন রয়েছে বলে জোর দাবি জানালেও প্রধানমন্ত্রী পদে ফের বসতে ব্যর্থ হলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী জুলাইয়ে ফের অধিবেশন শুরুর আগেই উভয় পক্ষই সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পর্দার আড়ালে জোর লড়াই করছেন।

বিজ্ঞাপন

আগামী জুলাইয়ে মাহাথির মোহাম্মদ ৯৫ বছরে পা দিচ্ছেন। তিনি এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে অত্যন্ত আশাবাদী। এর আগেও মাহাথির তার দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা ছাড়া করেছিলেন। ওই দুই জনই ছিলেন তার দলের সদস্য। এবার মহিদ্দিন হতে যাচ্ছেন তার তৃতীয় লক্ষ্য। তিনিও তার সাবেক দলের সদস্য।

স্বাধীনতার পর মালয়েশিয়ার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দেশটির এ পদে ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি তার তৎকালীন ডেপুটি আব্দুল্লাহ বাদওয়িকে পূর্বসূরি হিসেবে মনোনীত করেন। আব্দুল্লাহ বাদওয়ি ‘মি. ক্লিন’ হিসেবে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক মহলে পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় বসার পর মালয়েশিয়ার জোহর থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত একটি বাধ রাস্তা তৈরির বিশাল প্রকল্প বন্ধ করে দেন। এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিলো মাহাথির মোহাম্মদের আমলে। প্রকল্পটি বন্ধ করার পক্ষে আব্দুল্লাহ বাদওয়ির যুক্তি ছিল— এটি একটি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প। এই পদক্ষেপের ফলে মাহাথির মোহাম্মদের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেন তিনি।

বাদওয়ি ক্ষমতায় বসার পাঁচ বছর পর ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইউনাইটেড মালায়স ন্যাশনাল অর্গেনাইজেশন বেশ কয়েকটি আসন হারালে মাহাথির তার পদত্যাগের দাবি তুলেন। পরবর্তী বছরে আব্দুল্লাহ পদত্যাগ করতে বাধ্য হোন। সে সময় নাজিব রাজ্জাক প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন। উল্লেখ্য, নাজিব রাজ্জাক একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তিনি মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী আব্দুল রাজ্জাকের বড় ছেলে এবং দেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হুসেইন অনের ভাতিজা।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই মাহাথির ও নাজিবের মধ্যেও দ্বন্দ্ব শুরু হয়। নাজিব ক্ষমতায় বসেই দেশটির অধিবাসী-উপজাতিদের সহায়তা করার নীতি ‘ভূমিপুত্র’ সংশোধন করার চেষ্টা করেন। এছাড়া নাজিব মালয়েশিয়ার গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রোটনকে তাদের সংকটকালে আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেন। উল্লেখ্য, প্রোটন মাহাথিরের সময়ে মালয়েশিয়ায় গাড়ি তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানি। এছাড়া ভূমিপুত্র নীতিও মাহাথিরের সময়কার। নাজিব গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রোটনের ৪৯ শতাংশ শেয়ার চীনা এক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেন। এর মাধ্যমে এ প্রকল্প থেকে সরকারকে সরিয়ে নেন তিনি।

এসব ব্যাপার মাহাথিরকে রুষ্ট করে। তিনি এসবের প্রতিশোধ নিতে নাজিবের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির একটি অভিযোগ সামনে নিয়ে আসেন। অভিযোগটি হলো— মালয়েশিয়ার একটি রাষ্ট্রীয় ফান্ড ১এমডিবি থেকে কয়েকশো কোটি ডলার সরিয়ে নিয়েছেন নাজিব রাজ্জাক। এ কেলেঙ্কারিটি ২০১৫ সালে প্রথম সামনে আসে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ১এমডিবি আর্থিক কেলেঙ্কারি নাজিব রাজ্জাকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেয়।

আব্দুল্লাহ বাদওয়ি ও নাজিব রাজ্জাকের পর এখন মাহাথিরের উদ্দেশ্য মহিদ্দিনকে পদচ্যুত করা। যদি মহিদ্দিনকে তিনি ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেন তবে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এটাই এখন জানার বিষয়। গত মার্চে জাপানের একটি সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাহাথির জানিয়েছিলেন, সংসদে সদস্য থাকা অবস্থায় অবসরে যাওয়া একটি স্বার্থপর ব্যাপার হবে। তিনি  বলেছিলেন, ‘আমি অনুভব করছি, কিছু করার জন্য আমার দায়িত্ব এখনও শেষ হয়ে যায়নি।’

২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে দুই বছর পর মাহাথির যখন প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়েন— তখন তার বয়স একটি মূল ফ্যাক্টর ছিল। তবে তার একটি লক্ষ্য এখনও অধরাই রয়ে গেছে। লক্ষ্যটি হল ২০২০ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করা। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি ভিশন-২০২০ নামে যে পরিকল্পনাটি নিয়েছিলেন তার বাস্তবায়নের আশা তিনি করতেই পারেন। তবে মালয়েশিয়ার অতিমন্দা অর্থনীতি তার এই লক্ষ্যকে ২০২৪ পর্যন্ত পেছাতে বাধ্য করেছে। এই ব্যাপারটিই হয়ত মাহাথিরকে অবসর নেওয়া থেকে বিরত রাখছে।

তবে মাহাথির সম্পর্কে এখন কী ভাবছেন সেদেশের ওয়াকিবহাল রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা? মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী এই নেতা সম্পর্কে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ তাকিয়াদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখনও তাকে একজন রাষ্ট্রনেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করি। তবে তিনি এখন ‘হিরো টু জিরো’ ধরণের নায়ক হিসেবে পরিচিত। তিনি একবার পদত্যাগ করে সঙ্গে সঙ্গেই আবার তার ক্ষমতা ফেরত চাইছেন’।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করা মহিদ্দিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে না পারলে মাহাথিরের রাজনৈতিক জীবনের নিশ্চিত অবসান হবে। এমনকি তিনি যদি মহিদ্দিনকে সরাতে সফলও হয়ে যান, তবুও আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে তার সম্পর্কটি খুব সহজ হবে না। আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই শর্তে মাহাথিরের সঙ্গে জোটও বাধেন তিনি। তবে মাহাথির তার জন্য রাস্তা ছেড়ে দিচ্ছেন না। আনোয়ারের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে হলে— ঠিক কখন মাহাথির সরে দাঁড়াবেন তা নির্দিষ্ট করে বলতে হবে। আনোয়ারকে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে।

মাহাথিরের শেষ লড়াইয়ের ফল কী হবে এখনও অজানা। লড়াইটি এখনও চলছে। ৯৫ বছর বয়েসি মাহাথিরের রাজনৈতিক জীবন ঠিক কিভাবে শেষ হবে তা এখনও কোনভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে না।

এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না— এশিয়ার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক উজ্জ্বল নক্ষত্রটি গোধূলি লগ্নে এসে উজ্জ্বলতর হবে নাকি নিভে যাবে।

– নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ, আল জাজিরা, মালয় মেইল অবলম্বনে

সারাবাংলা/আইই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন