বিজ্ঞাপন

পাটকে কৃষিপণ্য না করায় অর্থমন্ত্রণালয়ের উপর ক্ষুব্ধ আজম

March 5, 2018 | 4:07 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা দেয়ার এক বছর পরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় অর্থমন্ত্রণালয়ের উপর ক্ষোভ জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিশ্বব্যাংকের কিছু প্রেতাত্মা এখনও অর্থমন্ত্রণালয়ে বসে আছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর  ঘোষণার পরও পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির ফাইল এখনও অর্থমন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলে আটকে আছে। হয়তো অর্থমন্ত্রী পাটকে পছন্দ করেন না, যার কারণে তিনি এটাকে এখনো কৃষি পণ্যে অন্তর্ভূক্ত করছেন না।’
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পাটের উন্নয়ন: গণমাধ্যমের ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়  যৌথভাবে এই গোলটেবিলের আয়োজন করে।
পাটের উন্নয়নে পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থমন্ত্রণালয় অনেক ক্ষেত্রে উদাসীন এমন মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,
পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থমন্ত্রণালয়ে পাটের  কোন ফাইল গেলেই এর গতি মন্থর হয়ে যায়। পরিকল্পনা কমিশনে একটি প্রকল্প তিনবার উঠার পরেও পাস হয়নি। অর্থমন্ত্রণালয়ে এখনও পাটকে কৃষি পণ্যে অন্তর্ভূক্তির ফাইল আটকে আছে। অথচ বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ফাইল গেলে তা ঠিকই পাস হয়ে আসে।
মির্জা আজম বলেন, পাট থেকে বর্তমানে চা তৈরি হচ্ছে, আর তা বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই পাটখড়ি থেকে তৈরি চারকোল বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
পাটের বহুমুখীকরণের ফলে প্রতিনিয়তই এ খাতে উদ্যোক্তা বাড়ছে। মন্ত্রী বলেন, যেকোনো পণ্যে ৫০ শতাংশ পাটের ব্যবহার থাকলেই তা কৃষিজাত পণ্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবে। সেই পণ্য রফতানিতে নগদ ২০ শতাংশ অর্থ সহায়তা পাবে উদ্যোক্তা।
মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের মধ্যেই সরকার দেশে ভিসকস (সুতা তৈরির) ফ্যাক্টরি স্থাপন করবে। পাট নিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। সময় আসবে একসময় আমরা আর কোন কাঁচাপাট রফতানি করবো না। দেশেই সমস্ত পাট দিয়ে বহুমুখীকরণ পণ্য উৎপাদন করা হবে।
এতে ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিজিএমসির চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শামছুল আলম, জেপেডিসি’র নির্বাহী পরিচালক বেগম রীনা পারভীন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাঈখ সিরাজ, ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানসহ অনেকেই।
সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন