বিজ্ঞাপন

১১ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৮ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা

June 20, 2020 | 4:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলতি বছরের মার্চ শেষে ১১ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। প্রভিশন ঘাটতিতে থাকা ১১টি ব্যাংক হলো- বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রুপালি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, দেশের ৫৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৪৮টি ব্যাংকের কোনো প্রভিশন ঘাটতি নেই। বিপরীতে ১১টি ব্যংকের প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে। ১১টি ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে বেসিক ব্যাংকের। এই ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ২ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ব্যাংকের ঘাটতি ১ হাজার ৩৯৪ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ঘাটতি ১ হাজার ১৫৫ কোটি, রূপালী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে ৭৯৫ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে এবি ব্যাংকের ঘাটতি ৬৮০ কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৫৭০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪৮৭ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ২৮০ কোটি টাকা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঘাটতি ২৫৯ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ১৮২ কোটি এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ৯৮ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, ব্যাংকের কোনো ঋণ খেলাপি হয়ে গেলে সমপরিমাণ অর্থ ব্যাংক তার আয় থেকে এনে প্রভিশন সংরক্ষণ করে। যাতে করে খেলাপি ঋণ আদায় না হলেও ব্যাংকগুলো যাতে ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। প্রভিশন সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হলে ব্যাংকগুলো সমপরিমাণ আমানত ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

দেশে উচ্চ খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন রাখতে হয়, কিন্তু বর্তমানে দেশের ১১টি ব্যাংক খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১১ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে। চলতি মার্চ পর্যন্ত ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মধ্যে ৮৭ শতাংশের বেশি আদায় অযোগ্য। এর মধ্যে মন্দমানের খেলাপি ঋণ ৮৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকিং খাত আগে থেকেই চাপের মুখে ছিল। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে এই চাপের পরিমাণ আরও বাড়বে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘ঝুঁকি কমানোর জন্য খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। অনেক ব্যাংক তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমানতকারীদের অর্থ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তাই ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি রোধ করতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নিয়ম-নীতির মধ্যে ঋণ বিতরণ করতে হবে। এভাবে খেলাপি ঋণ বাড়তে থাকলে ব্যাংকের আয় ও মুনাফা আরও কমে যাবে।’

উল্লেখ্য, খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন রাখতে হয়। ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা থেকে অর্থ এনে এটি সংরক্ষণ করা হয়। ফলে পরিচালন মুনাফা বেশি হলেও নিট মুনাফা কমে যায় এবং শেয়ারহোল্ডাররা মুনাফা কম পান।

সারাবাংলা/জিএস/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন