বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন ভাস্কর ও মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী

March 6, 2018 | 1:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : প্রখ্যাত ভাস্কর ও মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুরে পৌনে ১টায় তিনি মারা যান।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত যোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, দেশের মুক্তিসংগ্রামে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মহান মুক্তিযুদ্ধে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ভূমিকা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতি তার অবদান চিরদিন মনে রাখবে।

ল্যাবএইড হাসপাতালের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (করপোরেট কমিউনিকেশন) সাইফুর রহমান লেনিন সারাবাংলাকে জানান, কার্ডিয়াক অ্যাটাকে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মারা গেছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিডনি জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। হঠাৎ আজ (মঙ্গলবার) তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বেলা ১২টায় তাকে সিসিইউতে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

ফেরদৗসী প্রিয়ভাষিণীর বড় ছেলে কারু তিতাস সারাবাংলাকে বলেন, ‘মা বেশ সুস্থ ছিলেন। সকালে নাস্তাও করেছেন। কিন্তু হঠাৎ কী হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না।’

বিজ্ঞাপন

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কারু তিতাস

তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়াতে থাকা ছোট ভাই কাজী শাকের তূর্য বুধবার দেশে ফিরবেন। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহাম্মদ সামাদ জানিয়েছেন, দুপুর ৩টায় খিলক্ষেতের পিংক সিটির বাসায় নেওয়া হবে। এরপর তার মরদেহ রাখা হবে ল্যাবএইড হাসপাতালের হিমঘরে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস জানিয়েছেন, ৮ মার্চ বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে নাগরিক শোক সভা।

দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা। ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, হৃদরোগসহ বেশ কয়েকটি অসুখে ভুগছিলেন তিনি।

তার মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী জানান,পায়ের অপারেশনের জায়গাটি ডিসপ্লেস হয়ে যাওয়ায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অর্থপেডিক বিভাগের অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।দুপুর একটার কিছু আগে তিনি মারা যান।

গণমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলছেন প্রিয়ভাষিণীর মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী

গত ডিসেম্বরে একটি মাইল্ড স্ট্রোক হয় প্রিয়ভাষিণীর। সেসময় প্রথম অবস্থায় ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসা চলে প্রিয়ভাষিণীর। কিন্তু পরে অবস্থা খারাপ হলে ল্যাব এইডের চিকিৎসক বোর্ড জানায়, তাদের পক্ষে প্রিয়ভাষিণীকে আরো উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাবার সুপারিশ করেন সেখানকার চিকিৎসকরা। কিন্তু পারিবারিকভাবে সে সময় তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানেই তার পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়।

সারাবাংলা/জেএ/একে/জেডএফ

শঙ্কামুক্ত নন প্রিয়ভাষিণী
প্রিয়ভাষিণীকে দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পর্যবেক্ষণে প্রিয়ভাষিণী
বাসায় ফিরেছেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
পর্যবেক্ষণে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
প্রিয়ভাষিণীর দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন
গুরুতর অসুস্থ প্রিয়ভাষিনী, ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার রোববার

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন