বিজ্ঞাপন

বীজ বিক্রিতে কোম্পানিগুলোকে কম লাভের অনুরোধ কৃষিমন্ত্রীর

June 22, 2020 | 5:24 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বীজ বিক্রিতে কম মুনাফা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশ ও এদেশের কৃষকরাও বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কৃষিখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভর্তুকিসহ নানা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি খাতকেও কৃষকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২২ জুন) তার সরকারি বাসভবন থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসজনিত বিরাজমান পরিস্থিতিতে ‘বিভিন্ন ফসলের বীজ উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ ও বিপণন নিরবচ্ছিন্ন রাখা’ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনলাইন সভায় এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর কৃষকের ক্রয় ক্ষমতা ও আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাইব্রিড ধান বীজ, ভুট্টা বীজ ও সবজি বীজসহ অন্যান্য বীজে কম মুনাফা অর্জন করার জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) নিয়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বীজ কোম্পানিগুলোকে কৃষকের সেবায়, কৃষির সেবায় এগিয়ে আসতে হবে ‘

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং সবার সহযোগিতায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অসহনীয় দুর্যোগের মধ্যেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে আউশ ধান বীজ, আমন ধান বীজ ও পাট বীজ কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে আউশ ধান আবাদ পুরোদমে চলছে। আশা করা যায়, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আউশেও বোরোর মতো ভালো ফলন পাওয়া যাবে।’

বিজ্ঞাপন

শুরুর দিকে মৌসুমি ফল ও শাকসবজি বাজারজাতে কিছু সমস্যা থাকলেও এখন তেমন সমস্যা নেই বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘মোটামুটি ভালো দামেই চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছে। পাশাপাশি, আমসহ মৌসুমি ফলেরও ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক।’

করোনার কারণে দেশের এই ক্রান্তিকালে আসন্ন আমন মৌসুমে উৎপাদন বাড়ানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমন ধান আবাদের এরিয়া বোরোর চেয়ে বেশি হলেও উৎপাদন অনেক কম। একমাত্র উচ্চফলনশীল জাতের গুণগতমানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। আমন ও রবি মৌসুম সামনে, সেখানে অনেক শাক-সবজি, ভুট্টা, ডাল, তৈলসহ উফশীধান ও হাইব্রিড ধান বীজের প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য স্থিতিশীল খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে জন্য গুণগতমানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতে কৃষি মন্ত্রণালয় সবধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’

সভায় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘করোনার প্রকোপের শুরু থেকেই কৃষি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থাসমূহ এবং সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে খাদ্য সংকট হবে না।’

বিজ্ঞাপন

সভায় জানানো হয়, এবারই সরকার প্রথম বীজে ভর্তুকি দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিএডিসির ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন আমন ধানবীজ কৃষক পর্যায়ে বিক্রির জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। বিএডিসি তাদের ঘোষিত নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কম দামে উফশী আমন ধানবীজ ও হাইব্রিডের ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কম দামে চাষী পর্যায়ে বীজ বিক্রি করেছে।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন