বিজ্ঞাপন

গণমানুষের আবেগ ও অনুভূতির ঠিকানা আওয়ামী লীগ

June 23, 2020 | 4:37 pm

খাজা খায়ের সুজন

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একটি অংশের নেতা কর্মীদের কনভেনশনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন এই দলের নামকরণ হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানিকে সভাপতি, আতাউর রহমান খান, শওকত হোসেন ও আলী আহমদ খানকে সহ-সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান (তখন কারাবন্দী), খোন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে যুগ্ম সম্পাদক এবং ইয়ার মোহাম্মদ খানকে কোষাধ্যক্ষ করে গঠিত হয় আওয়ামী লীগ। ১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবরের তৃতীয় কাউন্সিল সভায় ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হিসেবে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। (সূত্র: বাংলাপিডিয়া)।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অন্যতম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে আওয়ামী লীগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই দল মানুষের প্রয়োজনে কাজ করে যাচ্ছে এমনকি বলা যায় আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে এই মানুষের প্রয়োজনে। এই দলটি সময়ের প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাদের ঐতিহ্য। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়েছিলেন শেখ মুজিব এই দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে। এই দেশের মহান স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিল এই দলটির নেতৃত্বে। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মম ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যার মাধ্যমে এই দেশ থেকে আওয়ামী লীগ তথা জাতির পিতার অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে চেয়েছিল। সেদিন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন জাতির পিতার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৯৮১ সালের ১৭ই মে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দেশে ফিরে আসেন জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। অবশ্য দেশে ফিরে আসার পূর্বে ১৯৮১ সালের ১৪-১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি দলের কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তারপর থেকে আজ অবধি দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন শেখ হাসিনা। সেই অন্ন চাই, পোশাক চাই, গণতন্ত্র চাই যার মূল কথা ছিল মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার চাই। সেই চরম দারিদ্র কবলিত দেশকে আজ তিনি রূপান্তরিত করেছেন নিম্নমধ্যম অয়ের দেশে। এ দেশে প্রতিষ্ঠা করেছেন মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার। একটানা তিনবারসহ মোট চার বার এই দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে এনেছেন মূল ঐতিহ্যে। আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিণত হয়েছে এই দেশের গণমানুষের দলে।

এখানে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কিছু ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব। কেননা এই দলটির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সকলের জানা। এই দলের অতীতের ভূমিকা সেই ১৯৪৯ সাল থেকে তাও আমাদের সকলের জানা। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বুদ্ধিজীবী নাকি অনুভূতির আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি বলবো, আওয়ামী লীগ এই দেশের দুর্যোগে গণমানুষের অনুভূতির আরও গভীরে গিয়ে নাড়া দেয়। এই দেশে যতই কঠিন ও বিপদজনক পরিস্থিতি আসে আওয়ামী লীগ ততই আরও বেশি অপরিহার্য হয়ে উঠে। সেটি বর্তমানে হয় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গুণে আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে। আবদুল গাফফার চৌধুরীর ভাষায়, ‘আওয়ামী লীগ একটি খুঁটির জোরে বেঁচে যায়। এই খুঁটিটি হলো তার জন্মসূত্রে পাওয়া সংগ্রামের নীতি।
১৯৪৯ সালে এই দলের জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি এই দলের নেতাকর্মীদের অঙ্গীকার ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালী জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাস। জনগণের অকুণ্ঠ ভালবাসা ও সমর্থন নিয়েই এই দলটি বিকশিত হয়। আওয়ামী লীগ মানেই সংগ্রামী মানুষের প্রতিচ্ছবি। উপমহাদেশের রাজনীতিতে গত ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ।

বিজ্ঞাপন

আজ সারাবিশ্ব ভুগছে অতিমহামারি তথা কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস। যার প্রকোপে আজ সারাবিশ্ব পরিস্থিতি ছিন্নভিন্ন। যে কোনা ধরনের দুর্যোগে এই দলের নেতাকর্মীদের ত্যাগ এই দলটিকে এই বাংলাদেশে আরও অপরিহার্য করে তোলে। সেটি বারবার প্রমাণ হয়েছে। কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বে ইতোমধ্যে ৯০ লক্ষ ৬ হাজার ৭৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ২২০ জন মৃত্যু বরণ করেছেন। (সূত্র: জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি) বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৫০০ এর বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। (সূত্র: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) ২২ জুন ২০২০ পর্যন্ত।

বাংলাদেশেও এই অতিমারি খুব ভয়াবহরূপে আঘাত হেনেছে। করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় চলতি বছরের ৮ মার্চ। যখন সারা বাংলাদেশ আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। ১৭ ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে সামনে রেখে আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল বলা যায়। কিন্তু ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথে জাতির জনকের কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সব ধরণের কর্মসূচি স্থগিত করেন। সে থেকে এখনো চলছে এক ভয়াবহ অদৃশ্য ভাইরাসের সাথে আমাদের যুদ্ধ। দেশরত্ন শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের কল্যাণে।

দুর্যোগে, দুর্বিপাকে মানুষের কল্যাণে সবার পাশে আওয়ামী লীগ। দুর্যোগের মুহূর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, এটি আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক চরিত্র। প্রতিষ্ঠা থেকে এই দলটির যে কোন সময়ে নিজেদেরকে মানুষের কল্যাণে উজাড় করে দিয়েছে। যেমনটি করেছে ১৯৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ে, যার ভয়াবহ তাণ্ডবে ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল, ১৯৮৫ সালের ঘূর্ণিঝড়, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় যার তাণ্ডবে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়, ২০০৭ সালের সিডর, ২০০৯ সালের আইলা এবং সম্প্রতি করোনার মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এইসকলে দুর্যোগে আওয়ামী লীগ ও এই দলের নেতাকর্মীদের ভূমিকা ছিল অনন্য।

বিজ্ঞাপন

দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি তাঁর পিতার আদর্শকে সমুন্নত রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান মায়ের পরম মমতা নিয়ে। জেল, জুলুম ও নির্যাতন তাকে সরাতে পারেনি মানুষের সেবা থেকে। কখনো ভুলেননি এই দেশের মানুষের কথা। সর্বশেষ ২০০৭ সালে তিনি যখন তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাবন্দী হন তখন এই বাংলাদেশে দুইটি ভয়াবহ দুর্যোগ আসে। জেলখানায় বসেও তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।

তিনি জেলখানায় থাকা অবস্থায় ২০০৭ সালের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করলে গভীর উদ্বেগ এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এবারের বন্যা ৯৮ এর চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের একার পক্ষে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে দিতে হবে। নইলে বন্যা সামাল দেয়া কষ্টকর হবে।’ (সূত্র: বেবী মওদুদ সম্পাদিত, নিঃসঙ্গ কারাগারে শেখ হাসিনার ৩৩১ দিন। পাতা-৬৫) একই বছরে দেশে ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানলে তিনি জেলখানা থেকে বলেন, ‘দেশে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং দলমত নির্বিশেষে সবাইকে অসহায় মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান। বন্দি থাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে না পারায় তিনি ব্যথিত।’

এখন পর্যন্ত করোনার ভয়াবহতা দিনদিন তীব্র আকার ধারণ করতেছে। এটি মোকাবেলা করার জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনা দিনা-রাত পরিশ্রম করছেন। এই করোনাকালীন সময়ে কিভাবে আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখা যায় সে পন্থা অবলম্বন করছেন। দেশের মানুষ যাতে না খেয়ে থাকতে হয় সে ব্যবস্থা করছেন এবং সে অনুযায়ী সবধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার এই কর্মপন্থা মূলত সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নিবেদিত নেতাকর্মীবৃন্দ।

এই মহামারিতে যখন সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় ও জনসমাগম এড়িয়ে চলছেন তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে মানুষের জন্য। মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পোঁছে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এটি করতে গিয়ে অনেকে জীবনের মায়াকেও তুচ্ছ জ্ঞান করছেন। যার জন্য অনেককে এই করোনার কারণে জীবনও দিতে হচ্ছে অনেককে। যেমন সম্প্রতি এই করোনায় প্রয়াত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মণ্ডলীর সদস্য জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই-তিন দিন পূর্বেও এলাকায় কাজ করেছেন মানুষের জন্য।

বিজ্ঞাপন

সদ্যপ্রয়াত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিলেটের সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন আহমেদ কামরান । তিনি আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ আগে তার বাড়ীর সামনে নিজ হাতে অসহায় হত-দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। প্রয়াত হয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ। যিনি প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন এই দুর্যোগে মানুষের জন্য।

এছাড়াও সারা দেশে আরও অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন এই ভয়াবহ করোনায়। যেটি আওয়ামী লীগের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলা যায়। এই ত্যাগগুলো আওয়ামী লীগকে ৭১ বছরে আরও বেশি অপরিহার্য করে তুলেছে বাংলাদেশে।

ইতিমধ্যে ভয়াবহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা। সারা দেশের আরও অসংখ্য নেতাকর্মী। যারা এই বিপদের মুহূর্তে ঘরে বসে থাকেননি। দেশরত্ন শেখ হাসিনার এক আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজেদের জীবনের বিনিময়ে কাজ করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে। বর্তমানে এই শিক্ষাটি দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়েছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সেটি হচ্ছে চলতি বাজেট অধিবেশনের সময়ে (১৪ জুন, ২০২০) তিনি সংসদে বলেন, ‘আজ (রবিবার, ১৪ জুন) আমি সংসদে আসবো। কিন্তু অনেক জায়গা থেকে আমাকে সংসদে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। ভীষণভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, না না আপনি যাবেন না, নেত্রী যাবেন না। তা আমি বললাম হুমকি, বোমা, গ্রেনেড কত কিছুই তো মোকাবিলা করে করে এ পর্যন্ত এসেছি। এখন কী একটা অদৃশ্য শক্তির ভয়ে ভীত হয়ে থাকবো।’ এই হচ্ছে শেখ হাসিনার শিক্ষা, এটি হচ্ছে নেতাকর্মীদের প্রতি তার বার্তা। বলা যায়, এইভাবেই কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সারাদেশে।

আওয়ামী লীগ যখন ৭১ বছর পার করছে তখন কোন জনসমাগমের কর্মসূচি নেই। আমরা পার করছি মুজিববর্ষ। আমাদের জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ। করোনার মহামারি শেষ হলে মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানগুলো আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হবে। আজ যে দুর্যোগ আমরা মোকাবেলা করছি তা থেকে যেন অতি তাড়াতাড়ি আমরা পরিত্রাণ পেয়ে যাই।

৭১ বছর বয়সে আজ আওয়ামী লীগ একটি পরিণত দল। যেটি আজ এই বাংলার মানুষের মিলন, বিরহ, আবেগ-অনুভূতির শ্রেষ্ঠ ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। এটি আজ অপরিহার্য একটি দল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভক্ষণে আরও অনেক অনেক সফলতা প্রত্যাশা করছি।

লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা

সারাবাংলা/এসবিডিই/আইই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন