বিজ্ঞাপন

ফমেকে পর্দা কেলেঙ্কারি: চেম্বার আদালতেও ২ আসামির জামিন বহাল

June 24, 2020 | 4:07 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের আলোচিত ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৪ জুন) চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের ভার্চুয়াল আদালত এ আদেশ দেন। জামিনপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন। এরা গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইফুল্লাহ মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত ২১ জুন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে এ দুজনকে জামিন দেন। পরে এ আদেশ স্থগিতের আবেদন করে দুদক। বুধবার শুনানি শেষে দুদকের আবেদনের বিষয়ে নো আদেশ দেন চেম্বার আদালত। ফলে তাদের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভয়াবহ পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত বছরের ২৭ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিকরা হয় সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।

আসামিদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতীত বেশি দামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুই ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন ফরিদপুর আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন