ভাগ্যকে দুষছেন বার্সা কোচ

স্পোর্টস ডেস্ক

স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্য দিকে সেল্টা ভিগো ১৬ নম্বরে। দারুণ ছন্দেও আছেন বার্সার বড় তারকারা। লিওনেল মেসি আগের দুই ম্যাচে গোল না পেলেও দারুণ খেলেছিলেন। লুইস সুয়ারেজ, আনসু ফাতি, ইভান রাকিটিচরা গোল পাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে জয়ই চেয়েছিল বার্সেলোনা সমর্থকরা। রোববার (২৭ জুন) রাতে সেটা মিলেনি। সেল্টার মাঠে গিয়ে ২-২ গোলে ড্র করে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পয়েন্ট হারিয়েছে বার্সেলোনা।

কদিন আগে সেভিয়ার বিপক্ষেও ড্র করেছিল বার্সা, যাতে পয়েন্টের হিসেবে কাতালান ক্লাবটিকে ধরে ফেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। এবার আরেকটা ড্র করে রিয়ালকে পরিস্কার ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিল বার্সেলোনা। লিগের শেষ পর্যায়ে এসে এমন পারফরম্যান্সে নিশ্চয়ই অখুশি সমর্থকরা। এদিকে, পয়েন্ট হারিয়ে ভাগ্যকে দুষছেন বার্সেলোনা কোচ কিকে সেতিয়েন।

বার্সা কোচ বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমারা যেভাবে খেলেছি সেটাই ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোল করাটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। তবে আপনাকে মানতে হবে, গোল কখনো কখনো ভাগ্যের ব্যাপার।’

ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটেই দুবার এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা। সপ্তম মিনিটে জেরার্ড পিকের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। দশম মিনিটে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। প্রথমার্ধের পুরোটা সময়েই একক আধিপত্য ধরে রেখে খেলেছেন মেসি-সুয়ারেজরা। কিন্তু মেসির ফ্রি-কিক থেকে ম্যাচের ২০ মিনিটে সুয়ারেজের গোলটাই শুধু পেয়েছে বার্সা। সেতিয়েন মনে করছেন, প্রথমার্ধে আরো গোল পাওয়ার দরকার ছিল তার ছাত্রদের। হারতে হয়েছে না পাওয়ার কারণেই।

বার্সা কোচ বলেন, ‘শেষ কয়েক মিনিটে সেল্টা অনেক ঝুঁকি নিয়েছে। তার মধ্যে তারা একটা গোলও পেয়েছে। আর এই গোলটাই তাদের পয়েন্ট এনে দিয়েছে। আমাদের উচিত ছিল না এমন পরিস্থিতিতে পড়ার। কারণ আমরা প্রথমার্ধে অনেক ভালো ফুটবল খেলেছি। বিরতিতে যাওয়ার আগে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল আমাদের।’

৩২ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট এখন ৬৯। অপর দিকে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬৮। কিন্তু একটা ম্যাচ কম খেলেছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। রিয়াল তাদের পরবর্তী ম্যাচে এস্পানিওলের মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে কাঙ্খিত জয় পেলেই বার্সেলোনার চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে যাবে জিনেদিন জিদানের দল।

সারাবাংলা/এসএইচএস/এসএস