বিজ্ঞাপন

এমন জয়ে কোনো কৃতিত্ব নেই কোচ সালাহউদ্দিনের!

March 6, 2018 | 6:27 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

১৩৭ রান করার পর একটা দলের মনোবল আসলে কেমন হতে পারে? বিশেষ করে যে দলটা আগের সাত ম্যাচের পাঁচটিই হেরেছে? যে দলের কোচ বোলিং নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথাও বলেছেন সরাসরি? গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অবশ্য কোনো কৃতিত্বই নিজে নিলেন না, পুরোটাই দিলেন শিষ্যদের। এই মুহূর্তে এমন জয় যে খুব করেই দরকার ছিল, সেটাও বললেন।

শুরুতে অবশ্য কথা বলতে চাইছিলেন না সালাহউদ্দিন। তবে এভাবে জেতার পর সংবাদমাধ্যমের অনুরোধ ফেলতে পারলেন না। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার যেন নিজেদের চেনাতেই পারছিল না ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। আজকের আগে সাত ম্যাচের দুইটিতে জয়, পয়েন্ট তালিকার তলানিতে চোখ রাঙাচ্ছিল অবনমন। এই ম্যাচ জিতে সেই অবস্থা নাকটা পানির ওপর একটু ভেসে উঠেছে বটে, তবে ডুবে যাওয়ার শঙ্কা কাটেনি এখনো। সালাহউদ্দিন নিজেই বললেন, এখনও নিজের সেরা একাদশটাই গোছাতে পারেননি।

তিনি জানালেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে আমরা খুব বাজে খেলেছি। আসলে পুরো টুর্নামেন্টে কম্বিনেশন করারও সুযোগ আমার ছিলো না। প্রতিদিন হয়তো দুইটা তিনটা করে খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে হতো। হয়তো অনেকে জাতীয় দলে চলে গেছে, অনেকের ইনজুরি ছিল। আসলে একটা সঠিক কম্বিনেশন পাইনি, এজন্য দলটা একটা ভারসাম্যহীন আবস্থায় ছিল। ’

বিজ্ঞাপন

কিন্তু আজ ১৩৭ রান করার পর ড্রেসিংরুমে তিনি কী কিছু বলেছিলেন? সালাহউদ্দিন পুরো কৃতিত্বটাই দিলেন খেলোয়াড়দের, ‘ড্রেসিং রুমে কথা বলার আসলে সুযোগ ছিলো না। আমরা সবসময়ই চিন্তা করতাম জিততে হবে, জিততে হবে। এখানে আসলে জেতার মতো কোন পরিস্থিতি ছিলো না। ছেলেরা আসলে নিজেরাই অনুভব করেছে যে আমাদের ভালো লড়াই করতে হবে। আমাদের আক্রমণাত্মক থাকতে হবে এছাড়া আসলে সম্ভব না। পুরো ক্রেডিটটাই আসলে ছেলেদের। এখানে আমি আসলে কিছুই করিনি। ’

আজ জয় পেয়েছে বটে, তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা তাতে আড়াল হয়ে যায়নি। সালাহউদ্দিন এবার নিজের ঘাড়েই সব দায়ভার নিলেন, ‘আমি মনে করি দল হিসেবে আমরা খুবই বাজে পারফর্ম করেছি। এটাতে আসলে খেলোয়াড়দের চেয়ে আমার ব্যর্থতাই বেশি। আমি সঠিক কম্বিনেশন বের করতে পারিনি। অথবা আমি খেলোয়াড়দের কাছ সেরা পারফরম্যান্সটা আদায় করতে পারিনি। খেলোয়াড়দের দোষ দেওয়ার আগে আমার দোষ নেওয়া উচিৎ। যখন ম্যাচ জিতে তখন তো আমি কৃতিত্বটা নেই। যেহেতু খেলোয়াড়রা খারাপ খেলছে তার মানে আমার কোন গলদ থাকার কারণে এটা হচ্ছে। চেষ্টা করবো এখান থেকে কিছু শেখার। চেষ্টা করব কীভাবে এ থেকে বের হওয়া যায়।’

বিজ্ঞাপন

আপাতত সালাহউদ্দিন আশাবাদী, এই জয়টা অবনমন থেকে বাঁচাবে গাজীকে। তবে সুপার সিক্সের স্বপ্ন আর দেখছেন না, ‘একটা জয় দরকার ছিল। আর এই ম্যাচ তো আমরা প্রায় হেরেই গিয়েছিলাম। জাস্ট ১৩৭ রান ডিফেন্ড করা এই কন্ডিশনে অনেক কঠিন। আমার মনে হয় এতে মোমেন্টাম বদলাতে পারে সামনের ম্যাচ থেকে। আমি আসলে সুপার লিগ খেলার স্বপ্ন এখনও দেখি না। আমি চিন্তা করছি পরের ম্যাচটা যেন আমরা ভালো খেলতে পারি।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন