![](https://sarabangla.net/wp-content/uploads/2020/07/Anderson.jpg)
জিম্মি অ্যান্ডরসনকে দেখা যাচ্ছে সাউদাম্পটনে স্টেডিয়ামের ভেতরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন
তবে এগুলো তো ছিল ক্রিকেটের লিখিত আইন। এর বাইরেও কিছু অলিখিত আইনও চলে এসেছে। সাউদাম্পটনে প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড দল দুই ভাগে ভাগ হয়ে খেলছে। আর সেই ম্যাচের ছবিতে স্পষ্টত ফুটে উঠেছে কীভাবে বদলে গেছে চিরচেনা সেই ক্রিকেট। স্টেডিয়ামের ভেতরেই বাউন্ডারির ওপাশে বসানো হয়েছে হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যদিও তা সকলের সুরক্ষার জন্যই দেওয়া হয়েছে তবে এত নতুন এক দৃশ্য চিরচেনা ক্রিকেটে।
![](https://sarabangla.net/wp-content/uploads/2020/07/England-4.jpg)
বল প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখা হচ্ছে। সকলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এভাবেই বল সংরক্ষণ করা হবে।
সাধারণত ক্রিকেট বল আম্পায়ার এবং মাঠের খেলোয়াড়রা নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে। তবে বাড়তি সতর্কতার জন্য এবার থেকে আর তা নাও হতে পারে। এখানে দেখা যাচ্ছে বল সংরক্ষণ করা হচ্ছে পলিথিনের ব্যাগে। যাতে করে করোনার সংক্রমণের ভয় থেকে রক্ষা করা যায় ক্রিকেটারদের।
![](https://sarabangla.net/wp-content/uploads/2020/07/England-2.jpg)
নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হ্যান্ড গ্লভস পরেই মাঠে নামছেন ইংলিশ ক্রিকেটার।
ক্রিকেটারদের মাঠে নামার সময় সবসময়ই দেখা মেলে একে অন্যের ঘাড়ে হাত রেখে কিংবা সতীর্থদের সঙ্গে অন্য কোনো দুষ্টামি করতে করতে মাঠে নামেন। কিন্তু এখন থেকে এই চিত্রের দেখা মিলবে বলেই মনে হচ্ছে। মহামারির কারণে দেখা যাচ্ছে হ্যান্ড গ্লভস পরে মাঠে নামছেন ইংলিশ ক্রিকেটার।
![](https://sarabangla.net/wp-content/uploads/2020/07/England-1.jpg)
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার মাঠে সতীর্থদের জন্য পানি নিয়ে আসছেন হাতে গ্লভস পরে।
অবশ্য গ্লাভস পরে মাঠে নামাটা কেবল ক্রিকেটারদের জন্যই অলিখিত নিয়ম নয়। সেই সঙ্গে মাঠের বাইরেও যারা অবস্থান করবেন তারাও নিজেদের সুরক্ষার জন্য গ্লভস ব্যবহার করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। মাঠে খেলোয়াড়দের জন্য পানি নিয়ে আসা ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার হাতে গ্লভস পরে আছেন সাবধানতার জন্য। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই সতীর্থদের জন্য মাঠে পানি নিয়ে যাচ্ছেন আরেক ক্রিকেটার।
![](https://sarabangla.net/wp-content/uploads/2020/07/England.jpg)
উইকেট তুলে নেওয়ার পর অ্যান্ডরসন এবং বেন স্টোকস কনুই ছুঁইয়ে উদযাপন করছেন
চরম উত্তেজনার মুহুর্তে বোলার প্রতিপক্ষের সেট ব্যাটসম্যানের উইকেটটা তুলে নিলেন আর সঙ্গে সঙ্গে সতীর্থরা তাকে জড়িয়ে ধরে বুনো উল্লাসে মাতলেন। না! এমন দৃশ্য অদূর ভবিষ্যতে আর দেখা নাও মিলতে পারে। কারণ অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী খেলার মাঠেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে ক্রিকেটারদের। আর তাই তো ম্যাচের যেকোনো উত্তেজনার মুহুর্তেও উইকেট তুলে নিলেও সতীর্থদের সঙ্গে তা বাধ ভাঙা উল্লাসে ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন না। ক্রিকেটে এর থেকে কষ্টদায়ক দৃশ্য আর কিই বা হতে পারে? ভাবতে কষ্টকর মনে হলেও এটাই বাস্তবতা এখন। ক্রিকেট যেন মুড়িয়ে গেছে প্লাস্টিকে। যেখানে মানুষের জীবনটাই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ক্রিকেট প্লাস্টিকে মুড়িয়ে ফিরলেও ক্রিকেটের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এখনই ফিরতে পারছেন না মাঠে। বলছিলাম দর্শকদের কথা। সকল ধরনের ক্রীড়া ইভেন্টেই এখন পর্যন্ত সাধারণ দর্শকরা নিষিদ্ধ। ক্রিকেটেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই তো আগামি ৭ জুলাই ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরলেও দর্শক সমর্থকদের জন্য তা ফিরছে কেবল টিভি সেটের সামনেই। এখনই স্টেডিয়াম খুলছে না সাধারণ দর্শকদের জন্য। আর নিঃসন্দেহে মাঠের ক্রিকেটাররা দর্শকের অনুউপস্থিতি অনুভব করবেন।
তবে সবকিছু বিপরীতে মনে হলেও ক্রিকেট ফিরছে। হোক না তা প্লাস্টিকে মুড়িয়ে, সামাজিক দূরত্ব মেনে কিংবা নিজ সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি না করতে পেরেও।