বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ কমেনি

July 5, 2020 | 8:33 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কুড়িগ্রাম: ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি ধীর গতিতে কমতে থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি বন্যা দুর্গতদের। চলমান করোনা পরিস্থিতি ও বন্যায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন তারা। বন্যাকবলিত এলাকায় শিশু ও গবাদি পশু খাদ্যেরও সংকট রয়েছে। এলাকার রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখনও বিছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

বিজ্ঞাপন

উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের আমান আলী, রহম আলী বলেন, ‘বাড়ি থেকে এখনও পানি নেমে যায়নি। কাজ সব বন্ধ। ঘরে খাবার নেই, ধার-দেনাও করার উপায় নাই। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা ছাড়া ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাঁচার কোনো উপায় নাই।’

বন্যাকবলিত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বন্যার্তদের জন্য যে পরিমান সহযোগিতার প্রয়োজন তার ১০ ভাগের একভাগও মিলছে না। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বন্যাকবলিতদের জন্য মাত্র ৩০০ প্যাকেট বরাদ্দ পেয়েছি। আর পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা হলো সাড়ে ৩ হাজার। শনিবার নৌকা নিয়ে এই ৩০০ প্যাকেট বিতরণ করেছি। বন্যাকবলিত মানুষ খুবই কষ্টে আছে। তাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা দরকার।’

জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, বন্যা শুরুর পরপরই জেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে সরকারি ৩০২ মেট্রিক টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন