বিজ্ঞাপন

তদন্ত করে দেখেছি সাহেদ আ.লীগের কোনো কমিটিতে ছিলো না: তথ্যমন্ত্রী

July 10, 2020 | 9:42 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নানা ধরনের প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে ছিলো না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখেছি, তিনি (মো. সাহেদ) আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে ছিলেন না।’

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, দুর্নীতিবাজদের পরিচয়-বর্ণ যাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারই অংশ হিসেবে সাহেদ ও এমন আরও প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ‘সরকারের মদদে রিজেন্টের অনিয়ম’ এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম সরকারই উদঘাটন করেছে, অন্য কেউ নয়। বিএনপিও এ নিয়ে আগে কোনো প্রশ্ন তোলেনি। সরকারি সংস্থা নিজেই ঢাকায় রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখায় অভিযান ও মামলা করেছে, গণমাধ্যমের কোনো প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়।’ এরপরও এ বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রপত্রিকার রিপোর্টে দেখা যায়, সাহেদ করিম বিএনপি আমলে হাওয়া ভবনের সাথে যুক্ত ছিলেন। এরপর দুবছর জেলেও ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী কয়েক মাস আগেও যুবদলের নেতাকে সামনে রেখে সাহেদ যখন তারেক রহমানের সাথে স্কাইপে কথা বলেন, তখন সেটি কাদের মদদে ঘটে?’

সাহেদ প্রতারণার কাজে কখনো নিজেকে মেজর, কর্নেল, আওয়ামী নেতা বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা এমন নানা পরিচয় দিয়েছেন যা সত্য নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সাহেদকে যারা টক শো’তে সুযোগ দিয়েছিলেন তাদেরও দায় রয়েছে, কারণ সে টক শো’কে প্রতারণার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতো।”

এসময় সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাহারা খাতুনের মৃত্যু রাজনীতিতে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সর্বজনশ্রদ্ধেয় সাহারা খাতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মী ছিলেন। ২০০৭ সালে শেখ হাসিনাকে কারাবন্দি করা হলে তার মুক্তির জন্য আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ে তিনি ওতোপ্রোতোভাবে ভূমিকা রাখেন। আওয়ামী লীগের সকল দুঃসময়ে তিনি বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন, অনেকবার কারাবরণ করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এমও

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন