বিজ্ঞাপন

পুলিশ হেফাজত মৃত্যু, বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

July 12, 2020 | 1:30 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে আফসার আলীর (৩৫) নামের একজনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ে করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ জুলাই) মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহীনুজ্জামান শাহীন এ রিট দায়ের করেন।

রিটে নিহত আফসার আলীর মৃত্যর ঘটনায় সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন রিটকারি আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান।

তিনি জানান, বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে আফসার আলীর (৩৫) মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট দায়ে করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় রিমান্ডে আসামির মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারাই ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। থানা হেফাজতে পৌর এলাকার টিকরামপুর মধ্যপাড়ার মহসীন আলীর ছেলে আফসার আলীর (৩৫) মৃত্যুর পর ওসির দাবি এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছেন, বাথরুমে ঢুকে সে গলায় তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ডাক্তার বলেছেন, হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পর বুকের ব্যথায় মারা গেছেন আফসার।

বিজ্ঞাপন

নিহতের স্ত্রী বলেছেন, আফসারকে খুন করা হয়েছে। তবে রাতে হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যার কোনো চিহ্ন লাশের গলায় দেখা যায়নি। যার ভিডিও ফুটেজ পত্রিকার প্রতিবেদনের হাতে রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আফসারের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেয়ায় এ নিয়ে রহস্য আরও ঘণীভূত হয়েছে।

৫ জুলাই রোববার সদর উপজেলার সুন্দরপুর বাগডাঙ্গা শুকনাপাড়া এলাকা থেকে ১ কেজি ১৯৫ গ্রাম হেরোইনসহ আফসার আলীকে আটক করে র‌্যাব। সদর থানায় মামলার পর ৬ জুলাই সোমবার ১ দিনের রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। ওই দিন রাত ১২টার দিকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়। রাত ১টায় রাজারামপুরে আফসার আলীর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। নিহতের দুই শিশু তিশা-দিশার কান্নায় বাতাস যেন ভারি হয়ে উঠছিল।

কাঁদতে কাঁদতে আফসারের স্ত্রী জুলেখা বেগম অভিযোগ করেন, অভাব-অনটনের সুযোগে সোর্স ওয়াসিম আর মোহন তার স্বামীকে কৌশলে মাদক ধরিয়ে দিয়েছে। পরে সে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে। ৬ জুলাই থানায় দেখা করতে গেলে সন্তানদের সামনেই হাতকড়া পরা অবস্থায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মারধর করছিল। তিনি দাবি করেন, পুলিশই আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঈদুল ইসলাম জানান, আফসার আলী কর্মঠ আর নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। রিকশা-ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন