বিজ্ঞাপন

রিজেন্ট চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

July 13, 2020 | 8:51 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলায় এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম এই আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাহেদের বিরুদ্ধে এদিন সন্ধ্যায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মাসুদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার গ্রহণ করে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার মাসুদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুল্লাহ মাসুদ তিন কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে থেকে জানা গেছে, সাহেদ ২০১৮ সালে দুই দফায় তার কাছ থেকে মোট তিন কোটি ৬৮ লাখ টাকার নির্মাণ সামগ্রী কেনেন। কিন্তু তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। উল্টো টাকা চাইতে গেলে তাকে হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও অভিযোগ জানান। প্রতিকার না পেয়ে এবার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করলেন তিনি।

এর আগে, করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় অনিয়ম-প্রতারণার বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে সারাবাংলার অনুসন্ধান। বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরেও। ৬ জুলাই হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম-প্রতারণার প্রমাণ উঠে আসে।

র‌্যাব জানায়, বাসায় গিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি না থাকলেও তারা সে কাজটি করত। আবার হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় করোনা পরীক্ষা করা হলেও তারা এর জন্য টাকা নিত। রিজেন্ট হাসপাতাল সরকারিভাবে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছে রোগীদের কাছ থেকে।

বিজ্ঞাপন

পরে স্বাস্থ্য অধিদফতর রিজেন্ট হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার আদেশ দেয়। এর মধ্যে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করে। অভিযানের দিনই আটক হয়েছিলেন আট জন। পরে সাহেদের ঘনিষ্ঠ তারেক শিবলীকেও রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সাহেদকে এখনো পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন