বিজ্ঞাপন

করোনা ‘নেই’ রবীন্দ্র সরোবরে, চলছে গল্প-আড্ডা

July 17, 2020 | 11:59 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বিনোদনের জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ধানমন্ডি লেক। দিনের প্রখর রোদ শেষে, শেষ বিকালে এখানে মানুষের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠে। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনার ছোবলে দেশে যখন লকডাউন শুরু হয় তখন এ জায়গাও হয়ে যায় জনশূন্য। তবে লকডাউন উঠতে না উঠতেই সব ভুলে ফের ভিড় বাড়ছে লেক পাড়ে। রোদ-বৃষ্টি ও করোনাকে উপেক্ষা করে মানুষের এ ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই এখনও করোনা ‍ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকালে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এবং লেকপাড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নানান শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ। লেকের দু’পাশ জুড়ে মানুষের ভিড়। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।

পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরছেন অনেকেই। অনেকে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই তাদের মধ্যে। অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি, অনেকে আবার মাস্ক পকেটে রেখে দিব্যি ঘুরে ফিরছেন স্বাভাবিকভাবে। অনেকে গান গাইছেন লেকের পাড়ে, কেউ কেউ অনেক শারীরিক ব্যায়াম করছেন। তরুণেরা ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত।


রবীন্দ্র সরোবরের পাশের সেতু এবং লেকের পাড়ে হাজার হাজার মানুষকে দেখা গেছে ঘুরে বেড়াতে। পরিববার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা রিয়াসাদ করিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বলা যায় ছোট বাচ্চারা ঘরে বন্দি ছিল। অফিসের কাজে আমরা বের হলেও ছোটদের এতদিন বের করেনি। আজ ছুটির দিন। বৃষ্টি হওয়ায় মনে করেছি মানুষজন কম হবে। এ কারণে বের হয়েছি। কিন্তু এখানে এসে দেখি অসংখ্য মানুষ। তারপরও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে একটু ঘোরানোর চেষ্টা করছি। যাতে ওদের মনে কিছুটা হলেও সতেজতা ফিরে আসে।’

বিজ্ঞাপন

করোনার ছাপ নেই রবীন্দ্র সরোবরে, চলছে গল্প-আড্ডা

করোনার ছাপ নেই রবীন্দ্র সরোবরে, চলছে গল্প-আড্ডা

বিজ্ঞাপন

Posted by Sarabangla.net on Friday, 17 July 2020

কলাবাগানের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন বিকাল আমাদের এখানে কাটে। সারাদিন আর যাই করিনা কেন, বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লেকের পাড়ে হেঁটে সময় কাটে। করোনার কারনে দীর্ঘদিন এখানে মানুষ আসেনি। এখন আবার আস্তে আস্তে ভিড় বাড়ছে।’

লেকপাড়ে চা-পান সিগারেট বিক্রি করে সালেহা খাতুন। ছোট দুই সন্তান নিয়ে তার সংসার। প্রতিদিন বিকাল বেলা ঘুরতে আসা মানুষের কাছে এসব বিক্রি করেই তার রুটি-রুজি। সালেহা খাতুন বলেন, ‘আগের মতো বেচা-বিক্রি নাই। আগে যা হতো তার অর্ধেকও নাই। তবে আজকে ছুটির দিন বলে কিছু মানুষ হয়েছে। তিন মাস দোকান একেবারে বন্ধ ছিল। অনেকে সাহায্য করেছে, তা দিয়ে কোন রকম চলেছি।’


ধানমন্ডি লেক ঘুরে দেখা যায়, এখনো বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ফাস্টফুড বা ফুচকা-চটপটির দোকান। মানুষের ভিড় দেখা গেলেও দেখা যায়নি সে তুলনায় খাবারের দোকান।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১ জন। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ৩৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন