বিজ্ঞাপন

কোচের ব্যাখ্যায় আবাহনীর ‘হার রহস্য’

March 7, 2018 | 10:58 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: এবারের এএফসি যাত্রার শুরুটা ভঙ্গ হলো হার দিয়ে। নিউ রেডিয়েন্টের কাছে হেরেছে ঢাকা আবাহনী। হোম ম্যাচ অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। লাল কার্ডে ‘মরার উপরে খাড়ার ঘা’ সানডে সিজোবার। দলের পারফরমেন্সের সঙ্গে ‘হার রহস্য’ উন্মোচিত হলো কোচ টিটুর ব্যাখ্যায়।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের শুরু থেকে গুছিয়ে খেলে যাচ্ছিল আকাশী-হলুদ জার্সিধারীরা। বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে কোচের অভিজ্ঞতা আছে এর আগেও। সেভাবেই পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে তা কার্যকর করাও হচ্ছিল। সুযোগও সবার আগে পেয়েছে আবাহনী। তা বারবার ব্যর্থতায় পর্যবশিত হচ্ছিল। পুরো ম্যাচে তিনবার জালে বল জড়িয়েও আবাহনীর পাশে ‘হার’! দুটি অফসাইড ও একটি গোলরক্ষককে ফাউল করার বাতিল হয়েছে।

তবে, নিউ রেডিয়েন্টের দুটি নিশ্চিত গোল একেবারে গোললাইন থেকে বাঁচিয়েছে আবাহনী। তারপরেও ম্যাচে ছিল ধানমন্ডির জায়ান্টরা। কোচের ব্যাখ্যায়, ‘রেজাল্ট ইজ নট গুড ফর আছ। আমাদের প্রবল ইচ্ছা ছিল। বাট গোল করতে না পারলে আমরা ম্যাচে ভালো করার ব্যাপার নাই। যে চান্সই আমরা পেয়েছি সেটা কাজে লাগাতে পারি নি।’

‘হ্যা আমরা একটা সার্টেইন প্লান নিয়ে খেলছিলাম কারণ ওই টিমের সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের জানা ছিল। কাজও করেছিলাম সেভাবে। অনেকটা মিডফিল্ড-প্রেসিং নির্ভর করার চেষ্টা করেছি। তিনজন মিডফিল্ড দিয়ে বল প্রেস করার প্লান করেছি। ওইটা কাজও করছিল।’ যোগ করেন টিটু।

বিজ্ঞাপন

টিটুর এ পরিকল্পনা বিপরীতে মাঠে ভিন্ন পরিকল্পনা সাজিয়েছে নিউ রেডিয়েন্টও। বিটুইন দ্য লাইনে বল ঠেলার চেষ্টা করেছে দলটি। মিডফিল্ডার ও রক্ষণভাগের ফাঁকগুলো কাজে লাগিয়েছেন রেডিয়েন্টের কোচ অস্কার ব্রুসেন। গোলটি হয়ে এই ফোঁকর দিয়েই। আলী আশফাককে কড়া নজর দিতে গিয়ে জায়গা পেয়ে যায় আলী ফাসির। নিখুতভাবে গোল করে রেডিয়েন্টকে এগিয়ে নিয়েছেন মালদ্বীপ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

সেটাই কাজে লাগিয়েছে রেডিয়েন্ট জানালেন টিটুও, ‘বিটুইন দ্য লাইন্স ওদের খেলোয়াড়গুলো খুব চালাক। বিটুইন লাইনস তারা বল নিচ্ছিল বেশি। আমার ডিফেন্ডিং লাইন ও মিডফিল্ড লাইনের মাঝখানে। আমরা থার্ড ম্যান রানিং সেভ করতে পারি নাই আমরা।’

তারপরেও ম্যাচ আবাহনীর পক্ষে ছিল। ২৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ডি বক্সেও ভেতরে বল অসাধারণভাবে নিয়ে গেলেন সানডে। একটা ‘ঐতিহাসিক সানডে শো’ও হতে পারতো। তবে, গোলরক্ষককে একা পেয়ে বল অদ্ভুত কারণে বক্সেও বাইরে পাঠালেন। কোচকে অবাক করেছে বিষয়টি, ‘আমাদের যে সুযোগগুলো এসেছে সেগুলো গোল না করতে পারলে হাউ ক্যান উই উইন। সানডে প্রথমদিকে এক্সিলিলেন্ডভাবে বল নিয়ে বেরিয়েছে, কিন্তু ঢু মেরে কিভাবে বারের উপর দিয়ে মারলো?’

বিজ্ঞাপন

পরে রুবেল মিয়ার দারুণ একটি পাস থেকে হেডের সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধে আরও বড় ধাক্কাটা পেল আবাহনী। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারকে। যার ফলে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচকে তাকে দর্শক হিসেবে থাকতে হচ্ছে। বড় ক্ষতিটাও তাই দলেরই।

কোচও ক্ষোভ ঝাড়লেন, প্লেয়ারদের বারবার সাবধান করা হয়, এটা ডমিস্টিক না ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ। এখানে আপনি ছাড় পাবেন না। আমার সুযোগ থাকতো তাকে ব্যাঙ্গালুরুতে খেলানোর কিন্তু এখন তাকে ছাড়াই যেতে হচ্ছে।

সানডের মাঠ ছাড়ার পর দশজনের দলে পরিণত হয় আবাহনী। মনে করিয়ে দেয় গতবছর এ ভেন্যুতেই ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে দশজন হয়েও ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল ঢাকা আবাহনী। এবারও সুযোগ পেয়েছে আকাশী-হলুদ জার্সিধারীরা। তবে পারেনি, বড় ক্ষতি হয়েছে সানডের লাল কার্ডে। তার একজন কম হওয়াতে ম্যাচটা হাত থেকে চলে গেছে। আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াতে কাজ করতে হবে। ১০ জন নিয়েও ম্যাচে থাকা সম্ভব। ফাইটটা কন্টিনিউ করতে পারতাম। আমি আগেও বলেছি, স্কোর করতে না পারলে, রেজাল্ট ইজ নাথিং।’

পুরো ম্যাচ নিয়ে তাই টিটুর মুখে ঝড়েছে হতাশাও। তবে ছেড়ে দিতে চান না এএফসি চ্যালেঞ্জ। চলতি মাসের ১৪ তারিখে ভারতে অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য প্রস্ততি নিবে টিটুরা, ‘আমরা হতাশ কিছুটা। তবে হতাশ হয়েও লাভ নেই। ১২ তারিখে ব্যাঙ্গালুরুতে যেতে হবে। ১৪ তারিখে ম্যাচ।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন