বিজ্ঞাপন

পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই

July 19, 2020 | 11:30 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কিশোরগঞ্জ: নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও তার সহকারী একান্ত সচিব আবদুল হাই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ জুলাই) বিকেলে আসর নামাজের পর কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতির বসতবাড়ি প্রাঙ্গণে আবদুল হাইয়ের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ তার পরিবারের সদস্যরা জানাজায় অংশ নেন।  জানাজায় ইমামতি করেন রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ।

পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হওয়ার আগে নিজ বাড়িতে আবদুল হাইয়ের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়

জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার ছোট ভাই আবদুল হাইয়ের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। জানাজা শেষে আবদুল হাইকে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। পরে আব্দুল হাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এর আগে, রোববার দুপুরে দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে আবদুল হাইয়ের মরদেহ মিঠামইনে নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহ রাখা হয় তার সাবেক কর্মস্থল মিঠামইনের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে। সেখানে আবদুল হাইয়ের জীবন ও কাজ নিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

আবদুল হক সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে আবদুল হাইয়ের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়

পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় আবদুল হাইয়ের কফিনে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মানও (গার্ড অব অনার) জানানো হয়। পরে স্কুল প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাত সোয়া ১টার দিকে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আবদুল হাই। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ২ জুলাই তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এলে রাতেই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ১২ জুলাই থেকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়।

প্রথম জানাজা শেষে স্থানীয় প্রশাসন আবদুল হাইয়ের মরদেহে গার্ড অনার প্রদান করে

আবদুল হাইয়ের জন্ম কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায়, ১৯৫৩ সালে। ৯ ভাই বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি হাজি তায়েব উদ্দিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শিক্ষক ছিলেন। বিভিন্ন সমাজিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নমূলক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন