বিজ্ঞাপন

সারাদেশে বন্যাদুর্গতদের পাশে আওয়ামী লীগ

July 19, 2020 | 7:32 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের উপদ্রবের মধ্যেই দেশের উত্তরাঞ্চল ও এর আশপাশের এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা। বানভাসী মানুষের দুর্দশা দূর করতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল সরকার। তাই করোনাকালীন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকার পানিবন্দি মানুষকে এরই মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। এরই মধ্যে বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলোতে ১ হাজার ৫৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৫৯৬টি মেডিকেল টিম। বিভিন্ন এলাকায় ১৯৭টি মেডিকেল টিম কাজও শুরু করেছে। পাশাপাশি বন্যা দুর্গত এলাকায় নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৮২২ প্যাকেট। শিশুখাদ্য কেনা বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ টাকা। এছাড়া গো-খাদ্য কেনা বাবদ দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

বরাবরের মতো দেশের মানুষের এই দুর্ভোগে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে দেশের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ত্রাণ বিতরণের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মাদারীপুর জেলা

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশনায় শিবচরের মাদবরেরচর ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। মাদবরেরচর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য সচেনতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে ১৫০ পরিবারকে একটি করে প্যাকেজ বিতরণ করা হয়।

মানিকগঞ্জ জেলা

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বিসিবির পরিচালক এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাঘুটিয়া, বাচামারা ও চরকাটারীর বন্যা ৬৬০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জামালপুর জেলা

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বন্যাকবলিত যমুনার দুর্গম পাকরুল চর এলাকা পরিদর্শন ও নদীভাঙনের শিকার ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সাহায্য বিতরণ করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

জামালপুরের ইসলামপুরে বানভাসী মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল। শনি ও রোববার উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের সর্দার পাড়া ও ছড়াবিল এলাকায় বানভাসি আটশ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন তিনি। এছাড়া শুক্র ও শনিবার তিনি বন্যা কবলিত এলাকা চিনাডুলী ইউনিয়নের বামনা, শিংভাঙা, বলিয়াদহ, গুঠাইলে বানবাসী চারশ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও গো-খাদ্য বিতরণ করেছেন।

এদিকে, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ডা. মুরাদ হাসানের নির্দেশে বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যা কবলিত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য সরকারি সহায়তা হিসেবে ২৩ টন চাল ও নগদ ৩৯ হাজার টাকা এবং ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে এবং ত্রাণ বিতরণের কাজ চলমান আছে।

বিজ্ঞাপন

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় গ্রাম ঘুরে ঘুরে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন জামালপুর-শেরপুর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরাও। ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন তিনি।

সুনামগঞ্জ জেলা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নে ১০টি গ্রামের ২০০ বন্যাদুর্গত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাসিম। এছাড়া সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে মধ্যনগর থানা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৩ জুলাই) পায়ে হেঁটে ও নৌকাযোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেন নেতাকর্মীরা।

বন্যা কবলিত এলাকার গ্রাম ও আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষক লীগ নেত্রী শামীমা শাহরিয়ার। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়ন ও উত্তর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও আশ্রয় কেন্দ্রে ঘুরে ২২০টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল ও নগদ অর্থ সহায়তা করেন তিনি।

অন্যদিকে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন এক হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। গত ১৪ জুলাই সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের উদ্যোগে পৌর শহরের বন্যাকবলিত নতুনপাড়া, কালিপুর, হাসনবসত, মরাটিলা রোড, গৌরারং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে শুকনো খাবার, মুড়ি ছিড়া, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানা যুবলীগের উদ্যোগে বন্যার্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। একই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বন্যার্ত ২৫০টি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে জিআরের চাল বিতরণ করেছেন স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।

নাটোর জেলা

নাটোরের সিংড়া উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত ১৬ জুলাই শেরকোল ইউনিয়ন ও চামারীর ১ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

বগুড়া জেলা

ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বৈশাখী চরের বন্যা কবলিত ৩০০ মানুষের বাড়ি বাড়ি নৌকায় করে ব্যক্তিগত অর্থায়নে শিশু খাদ্য ও গোখাদ্য পৌঁছে দিয়েছেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ হাবিবর রহমান।

কুড়িগ্রাম জেলা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন গত ১৭ জুলাই তার নির্বাচনি এলাকা  কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় বানভাসী প্রতি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে মোট ৭ মেট্রিক টন চাল পৌঁছে দেন। প্রয়োজন অনুযায়ী বন্যাকবলিত মানুষদের মাঝে সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলে আশাবাদ জানান তিনি।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন