বিজ্ঞাপন

সাহেদের এনআইডি ব্লক করেছে ইসি

July 20, 2020 | 5:42 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জালিয়াতি ও প্রতারণা অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ এর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (২০ জুন) বিকেলে ইসির ৬৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম সংশোধন করে ‘সাহেদ করিম’ থেকে ‘মোহাম্মদ সাহেদ’ হওয়ায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত করা হয়েছে।

ইসি সচিব বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে সাহেদের নাম পরিবর্তনের সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণসাপেক্ষে সাহেদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইসি সচিব আরও বলেন, ‘এনআইডি মহাপরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সাহেদ বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সনদ দিয়ে নাম পরিবর্তন করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে দেখব প্রকৃত ঘটনা কী। এরপর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সংশোধিত এনআইডি বাতিল করা হবে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আমরা এ ধরনের ঘটনায় অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। অনেকে শাস্তিও পেয়েছেন।’

ইসি সচিব বলেন, ‘সাহেদ প্রথমে যখন এনআইডি করেছিলেন, সেখানে তার নাম ছিল সাহেদ করিম।পরবর্তী সময়ে তিনি এটি সংশোধন করে মোহাম্মদ সাহেদ হয়ে যান। প্রথমে তার জন্ম সাল ছিল ২ জুলাই ১৯৭৫। পরবর্তী সময়ে তা ৭৮ করে নেন। এর স্বপক্ষে তিনি ও লেভেলের কাগজপত্র দাখিল করেন।’

সূত্র জানায়, সাহেদের আসল নাম সাহেদ করিম, বাবার নাম সিরাজুল করিম, মা মৃত সুফিয়া করিম। কিন্তু এখন তিনি যে এনআইডি ব্যবহার করছেন, সেখানে তার নাম মোহাম্মদ সাহেদ।

বিজ্ঞাপন

২০০৮ সালের ২৫ অগাস্ট সাহেদের নামে যে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়েছিল, তার নম্বর ছিল ২৬৯২৬১৮১৪৫৮৮৫। বর্তমানে সাহেদের নামে থাকা স্মার্ট এনআইডির নম্বর ৮৬৫০৪০৬১৮৭।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে সাহেদ তার এনআইডি সংশোধন করার সময় জন্মনিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, পাসপোর্টের কপি এবং ‘ও’ লেভেলের সার্টিফিকেট জমা দেন।এনআইডির তথ্য সংশোধনে তার নাম সাহেদ করিম থেকে মোহাম্মদ সাহেদ হয়। অথচ এখন জানা গেছে সাহেদ এসএসসি পাস।

উল্লেখ্য এর আগে এনআইডি উইংয়ের অফিসার ইনচার্জ (কমিউনিকেশনস) স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান সাংবদিকদের বলেন, ‘মোহাম্মদ সাহেদ এনআইডিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক দিয়েছেন। কিন্তু পরিচয়পত্রের জন্য সব সময় এসএসসি ও সমমানের সনদ দেখাতে হয়। উনি এখানে ক্যামব্রিজের ও লেভেল সার্টিফিকেট দিয়েছেন। সেটা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে নাগরিকত্ব সনদ, জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করে সঠিক পাওয়ায় এনআইডির তথ্য সংশোধন করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) টেস্টের নামে প্রতারণা ও জালিয়াতি করায় সাহেদের মালিকাধীন রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে প্রশাসন। প্রতারণার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর থেকে সাহেদ আত্মগোপনে ছিলেন। তবে গত সপ্তাহে সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারের পর সাহেদ হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। র‌্যাব জানায় বোরখা পরে তিনি ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। গোয়েন্দা সদস্যরা অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ধরতে অভিযান চালায়।

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তার মামলাগুলো তদন্ত করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সারাবাংলা/জিএস/একে

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন