বিজ্ঞাপন

‘সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় দরকার দক্ষ জনবল ও প্রযুক্তির ব্যবহার’

July 20, 2020 | 10:32 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় আমাদের দক্ষ জনবল দরকার মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ‘একই সঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নয়নও প্রয়োজন’। তা না হলে সমুদ্র সেক্টরে আমাদের যে সম্পদ রয়েছে সেগুলো আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারব না।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ জুলাই) সারাবাংলা ফোকাস অনুষ্ঠানে বক্তারা একসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক) রিয়াল অ্যাডমিরাল অব. মো. খুরশেদ আলম ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক অব. মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সারাবাংলা.নেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এম এ কে জিলানী।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র বিষয়ক) রিয়াল অ্যাডমিরাল অব. মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘গত বছর সাড়ে ৩ হাজার জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে। সাগরে ট্যুরিজম খুব কম। সাগরের গাছ থেকে নানা ধরনের মেডিসিন ও কসমেটিক্স হয়। বায়ো টেকনোলজিতে আমরা পিছিয়ে আছি। সামুদ্রিক সম্পদ আছে এমন ৫০টি খাত আমরা চিহ্নিত করেছি। আমাদের উদ্যোক্তা দরকার। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার দক্ষতা বা সক্ষমতা আমাদের নেই। ৭০ হাজার নৌকা সাগরে মাছ ধরতে যায়। অর্থাত্‌ এই সেক্টরে আমাদের অনেক মানুষ কাজ করছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো জাহাজকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি না। কারণ রাডার ব্যবস্থা না থাকা। এটা নিয়ে আমাদের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ চলছে। এগুলো স্থাপন করা গেলে সাগরে চোরাচালান বন্ধ হবে। গত পাঁচ-ছয় বছরে নৌবাহিকে শক্তিশালী করা হয়েছে। অনেক কিছু নৌবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী কিনে দিয়েছেন। ১৭৭৬ সালের ম্যাপ থেকে উপকূলে আমরা এখনো বেশি লাভবান হতে পারেনি। সমুদ্রসম্পদ রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে দক্ষ জনবল আর প্রযুক্তির উন্নয়ন না হলে এগুলোর সফলতা দ্রুতই পাওয়া যাবে না।’

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমুদ্র সম্পদ নিয়ে পড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘একটি মেরিন বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এগুলো সম্প্রতিকালে করা হয়েছে। কিন্তু আগে থেকে এগুলো থাকলে আমাদের দক্ষ জনবলের অভাব থাকতো না।’

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক অব. মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ বলেন, ‘আমরা বিদেশ নির্ভর। বিদেশি জ্ঞান সবসময় সহায়তা করবে এমনটি নয়। সবাই প্রাপ্যতা পেতে চাই। ফলে বিনিয়োগে ঝুঁকি থাকে। তখন কাজগুলো বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে দেওয়া হয়। যেকারণে বিদেশি সংস্থাগুলো কাজ করলে আমরা সুবিধা কম পেয়ে থাকি। আমাদের দেখতে হবে সমুদ্র সম্পদ আমাদের আছে কিন্তু আমরা কতটুকু সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারছি। এছাড়া গভীর সমুদ্রে কাজ করার সক্ষমতা আমাদের আছে কি না? গভীর সমুদ্রে কাজ করতে গেলে এটার সক্ষমতা থাকতে হবে। এই সমুদ্র সম্পদ রক্ষা করতে হলে আমাদের দক্ষ জনবল প্রয়োজন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি জাহাজ এসেও আমাদের সমুদ্রের সম্পদ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তাই সম্পদ রক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য আমাদের প্রযুক্তির প্রয়োজন। সমুদ্র সীমা নিয়ে সবাই আমাদেরকে ভুল তথ্য দেয়। সেজন্য আমাদেরকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বহুপাক্ষীক সমঝোতায় যেতে হবে। একইসঙ্গে জাতীয় স্বার্থরক্ষায় কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের বড় অর্জন সমুদ্রসীমা অর্জন। আমাদেরকে সমুদ্রসম্পদ জিডিপিতে যোগ করতে হবে।’

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন