বিজ্ঞাপন

ঢাকা ট্রমা সেন্টারের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা

July 23, 2020 | 1:43 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ঢাকা ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। লাইসেন্স নবায়ন না হওয়া, প্রয়োজনীয় জনবলের ঘাটতি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ নানা অভিযোগে হাসপাতালটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালটির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেটিও সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে অধিদফতরকে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসানের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হয়। ১৮ জুলাই এই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতালের বিভাগের কর্মকর্তারা।

রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লেখা ওই চিঠিতে ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) ১৯৮২’ অনুযায়ী হাসপাতালটির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সাত দিনের মধ্যে তার সুস্পষ্ট জবাব দিতেও বলা হয়েছে চিঠিতে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা গত ১৮ জুলাই হাসপাতালটি সরেজমিন পরিদর্শন করে নানা রকমের অনিয়ম পেয়েছেন। এ সময় হাসপাতালের কর্মকর্তারা কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। অনলাইনে যাচাই করে দেখা যায়, হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩০ জুনের আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে লাইসেন্স নবায়ন করার আগ পর্যন্ত হাসপাতালটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতালে কোনো ধরনের মূল্য তালিকা উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করা হয়নি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে আইসিইউ ছাড়া ২৬টি শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জনবলের ঘাটতি দেখা গেছে। আইন অনুযায়ী প্রতি শিফটে অন্তত তিন জন চিকিৎসক ও ছয় জন নার্সের থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে মাত্র একজন চিকিৎসক পাওয়া যায়। এছাড়া নার্সিং কাউন্সিল থেকে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া কোনো নার্সকে পাওয়া যায়নি, যা ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) ১৯৮২’ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয় হয়, চিকিৎসক অপারেশন করলেও তাকে সহায়তা করেন ওয়ার্ড বয় এবং নন-মেডিক্যাল লোকজন। হাসপাতালটির পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। বিপজ্জনকভাবে অক্সিজেন রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল। পরিদর্শনের সময় আইসিইউ বন্ধ পাওয়া গেছে। এমন হাসপাতাল আইসিইউ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন