বিজ্ঞাপন

খুরুশকুলে গিয়ে শুঁটকি ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে চান প্রধানমন্ত্রী

July 23, 2020 | 2:10 pm

ঢাকা: খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প দেখতে গিয়ে শুঁটকি ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা খুরুশকুল দেখতে যাব। শুঁটকি ভর্তা দিয়ে ভাত খাব।’

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নামমাত্র মূল্যে ৬০০ জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ খ্যাত বিশেষ এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

‘জন্মশতবর্ষে আমাদের লক্ষ্য দেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না’

জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের নিরলস কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। আমরা জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। আর সেই লক্ষ্য আমাদের অর্জন করতে হবে। এভাবে আমাদের সমস্ত কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই জাতির পিতার এই জন্মশতবর্ষে আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে যেভাবে পারি, একটা চালাও করে দিতে পারলেও সেটা আমরা করে দেব।’

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের স্থায়ী বসবাসের জন্য বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউস তিনি একটি সংক্ষিপ্ত পটভূমি তুলে ধরেন এরপর একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। কক্সবাজার প্রান্তে প্রকল্প এলাকায় ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা। উদ্বোধন শেষে কয়েকজন উপকারভোগীর হাতে ফ্লাটের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় তিনজন উপকারভোগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তিনটি বৃক্ষরোপন করেন।

এরপর গণভবন প্রান্ত থেকে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প এলাকায় জেলা প্রশাসক কামাল হোসনে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সেখানে তিন জন উপকারভোগীর কথা শোনা হয়। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারের একজন স্থানীয় নারীর কণ্ঠে গান উপভোগ করেন।

সবশেষে প্রকল্পের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর দশম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। গণভবনে প্রান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকল্প এলাকার একটি স্মারক প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন