বিজ্ঞাপন

ফাল্গুনের ফুল ও ভালোবাসায় প্রিয়ভাষিণীকে বিদায়

March 8, 2018 | 2:24 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট 

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ‍শেষে নীরবতায় বিদায় নিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মরদেহ নিয়ে আসা হয়। সেখানে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে তার জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর সেখান থেকে প্রিয়ভাষিণীকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে। সেখানে জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হবে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পাশে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ নিয়ে আসার পর প্রথমে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর শ্রদ্ধা জানান স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সড়ক ও পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

এছাড়া বাংলাদেশ নারী পরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, আইন ও সালিস কেন্দ্র, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাড়াও  অসংখ্য বন্ধু ও স্বজনরা শ্রদ্ধা জানান প্রিয়ভাষিণীর কফিনে।

প্রিয়ভাষিণীকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, তিনি ছিলেন সাহসী নারীর প্রতীক। তার মৃত্যুতে নারীদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল। তবে তিনি তার শিল্পের মধ্যে বেঁচে ছিলেন, বেঁচে থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, তিনি ছিলেন আমাদের সবার প্রিয় মানুষ, ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সাহস করে সত্য উচ্চারণ করেছিলেন। মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নারীদের লড়াই করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন।

প্রিয়ভাষিণীর মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী বলেন, আমার মা যে ভালবাসা পেয়েছেন তার জন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা তার জন্য প্রার্থনা করবেন। তিনি বলেন, গত চার মাস ধরে আমার মা অসুস্থ ছিলেন। তিনি ফাল্গুন দেখেননি, আকাশ ও প্রকৃতি দেখেননি। কিন্তু আমার মাকে আপনারা এতোই ফুল ও ভালোবাসা দিয়েছেন যেন মাকে পুরো ফাল্গুনটাই এনে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী বলেন, আমার মা সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তার একটা শেষ ঠিকানা দরকার ছিল। তিনি সেটা পেয়েছেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পাশে আমার মায়ের যে শেষ ঠিকানা দরকার ছিল তিনি সেটা পেয়েছেন।

সারাবাংলা/জেএ/টিএম

আরও পড়ুন

প্রিয়ভাষিণীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে সরকার : স্পীকার

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন