বিজ্ঞাপন

ঘরে-মাঠে দায়িত্ব বেড়েছে শান্তর

July 31, 2020 | 12:10 pm

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সাবরিন সুলতানা রত্নার সঙ্গে গত ১৩ জুলাই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তুর্কি-তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত, শুরু করেছেন জীবনের নতুন অধ্যায়। বিয়ের এক মাসও অতিবাহিত হয়নি কিন্তু এর মধ্যেই এই তরুণ টাইগার অনুধাবন করতে পেরেছেন ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে তার দায়িত্ব বেড়ে গেছে। কোনো কিছুই আর আগের মতো নেই। যাই করছেন ভেবে চিন্তে করতে হচ্ছে। একইভাবে তিনি এও অনুধাবন করতে পারছেন, বিয়ে তার মাঠের দায়িত্বটাও বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্রিকেট ফিরলে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের মত ২২ গজের লড়াইয়েও ভিন্ন এক শান্তকে দেখা যাবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে করোনাকালে ক্রিকেট নেই, তাহলে তিনি কী করে বুঝলেন যে মাঠের দায়িত্ব বেড়ে গেছে? জবাবটা বেশ মজা করেই দিলেন ইয়ুথ ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী (১ হাজার ৮২০) এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। তার এই উপলদ্ধিটা এসেছে মূলত দলের সিনিয়রদের দেখে। নিঃশ্বাস দূরত্বে থেকে দেখেছেন বিয়ের পর তাদের পারফরম্যান্স গ্রাফ কতটা ঊর্ধ্বমুখী। এক্ষেত্রে শান্ত উদাহরণ হিসেবে নিয়েছেন সতীর্থ লিটন দাসকে। কেননা এক সাক্ষাৎকারে এই টাইগার ওপেনার অকপটে স্বীকার করেছেন বিয়ে তার মাঠের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে তাক লাগানো পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দেশের মাটিতে গড়ানো যুবা বিশ্বকাপের ওই আসরে ৬ ম্যাচে ২৫৯ রান করে জায়গা করে নিয়েছিলেন সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় দশে। শুধু এটাই কেন? ব্যাট হাতে শান্ত কতটা অশান্ত তার সাক্ষ্য দেবে অনূর্ধ্ব-১৯ ইয়ুথ ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনালের পরিসংখ্যানও। ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫৮ ম্যাচের ৫৭ ইনিংসে তার রান ১ হাজার ৮২০। যা বিশ্ব ক্রিকেটে এখন পর্যন্তও সর্বোচ্চ।

বিজ্ঞাপন

ঘরোয়া ক্রিকেটেও তার জুড়ি মেলা ভার। বয়স মাত্র ২৫ কিন্তু তাতে কি? ব্যাটকে খাপ খোলা তলোয়ার বানিয়ে তারুণ্যেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মেরে দিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি। সেটিও খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে (বিসিএল) মধ্যাঞ্চলের হয়ে খেলেছেন ২৫৩ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। প্রথম শ্রেণিরর ক্রিকেটে ৪৪ ম্যাচে ৭ সেঞ্চুরি ও ১৫ ফিফটিতে তার রান সংখ্যা ৩ হাজার ৫। কম যাননি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও। ১০৩ ম্যাচে ৬ টি শতক ও ১৫ অর্ধ শতকে তার মোট রান ৩ হাজার ২৬২।

ঘরোয়া ক্রিকেট ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে জাতীয় দলে তার পারফর‌ম্যান্সের দিকে চোখ সরালে কিছুটা হতাশ হতেই হবে। কেননা ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষিক্ত এই ওপেনার সাদা পোষাকে ৪ ম্যাচ খেলে রান সংগ্রহ করেছেন ২০১টি। সেঞ্চুরি নেই, একটি মাত্র ফিফটিতে (৭১) মাত্র ২৮ দশমিক ৭১ গড়ে তিনি এই রান সংগ্রহে সক্ষম হয়েছেন।

ওয়ানডে’র অবস্থা আরো হতাশাব্যঞ্জক। ২০১৮ এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষিক্ত এই ওপেনার ৫ ম্যাচ থেকে সাকুল্যে সংগ্রহ রান করেছেন মাত্র ৫৫। গড় মাত্র ১১। আর গেল বছর সেপ্টেম্বরে, চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর ২ ম্যাচ থেকে সংগ্রহ করেছেন মোটে ১৬ রান। ম্যাচ প্রতি গড় ৮।

বিজ্ঞাপন

কেন তার এই হাল? এর কারণ হিসেবে স্বল্পসংখ্যক ম্যাচ খেলাকেই কাঠ গড়ায় দাঁড় করালেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে নিয়মিত জাতীয় দলের হয়ে খেললে ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে না সেই আশ্বাসও দিয়ে রাখলেন।

নিজ শহর রাজশাহী থেকে মুঠোফোনে সারাবাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলো জানাচ্ছিলেন শান্ত। বলেছেন আরো অনেক কিছু নিয়েই। নতুন জীবন সঙ্গীকে নিয়ে জীবনের নতুন মোড়কের ঈদ নিয়ে পরিকল্পনা কী, ব্যাটিং দর্শন কী, নেতৃত্বই বা কতটা উপভোগ করেন? সব বিষয়েই প্রাণখুলে কথা বলেছেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো-

সারাবাংলা: এই ঈদটি নিশ্চয়ই অন্য আট-দশটি ঈদের মতো কাটবে না। ভাবতে কেমন লাগছে?

বিজ্ঞাপন

শান্ত: ঈদ তো এখনো পর্যন্ত আসেনি। তবে ভাবছি। কেমন কাটে না কাটে যেহেতু আগে এমন কখনো হয়নি। যেহেতু কয়েকদিন আগে নতুন একটা জীবনে পা রেখেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে আশা করছি ভালো একটি ঈদ যাবে।

সারাবাংলা: জীবনের নতুন মোড়কের ঈদকে ঘিরে কী কী পরিকল্পনা করেছেন?

শান্ত: পরিকল্পনা বলতে তেমন কিছুই নেই। আমি সবসময় গ্রামের বাড়িতেই ঈদ করি। আব্বুরা চার ভাই আছেন। তো তাদের সঙ্গে ঈদ করা হয়। কোরবানির সময় গরু কাটা নিয়ে ব্যস্ত থাকা হয়। সবার সঙ্গে সারাদিন কাটাই আর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা দেই। এবারও তেমনই পরিকল্পনা।

সারাবাংলা: নতুন স্ত্রীকে নিয়ে কী কী পরিকল্পনা করেছেন? কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা বাইরে খেতে যাওয়া, এমন কোনো ভাবনা আছে কিনা!

শান্ত: আপাতত এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া দেশের পরিস্থিতিও খারাপ। ঈদের দিন কোথাও যাওয়া হবে না। যেটা বললাম যে গরু নিয়ে সারাদিন কেটে যায়। ঈদের একদিন বা দু’দিন পরে কোথাও হয়তো বা ঘুরতে গেলাম। ইচ্ছা আছে এরকম দেখা যাক।

সারাবাংলা: বিয়ে নিশ্চয়ই আপনার দায়িত্ব আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে। সেটা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনেও। আপনার কি মনে হয় মাঠের খেলায়ও দায়িত্বটা বেড়ে যাবে?

শান্ত: এই পর্যন্ত যারা বিয়ে করেছেন তাদের দেখে মনে হচ্ছে আমার দায়িত্বটাও বেড়ে যাবে। কারণ কয়েকদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে দেখেছিলাম লিটন ভাই (লিটন দাস) বলছিলেন তার দায়িত্ব আগের চাইতে বেড়েছে। খেলার বাইরে এবং খেলার ভেতরে। তাদের অভিজ্ঞতা থেকেই আমি বলতে পারি অবশ্যই মাঠের ভেতরে এবং মাঠের বাইরে দায়িত্বটা বাড়বে। যদিও এখন আমি মাঠে যেতে পারিনি। তবে এটা ঠিক আগের চাইতে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এতটুকু এখন পর্যন্ত বুঝতে পেরেছি। তো মাঠে যাওয়ার পরে খেলার পরে মাঠের ব্যাপারটা বুঝতে পারব।

সারাবাংলা: আপনি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে (২০১৬) দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। আপনার কী মনে হয় সেই শান্তকে আমরা দেখতে পাচ্ছি? আপনার প্রতি যে প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন?

শান্ত: দেখেন, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে যেমন খেলেছি তারপরে ঘরোয়া ক্রিকেটে যেভাবে খেলছি জাতীয় দলে এভাবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আমি এখনো করতে পারিনি। যদিও আমি খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। ১১টি ম্যাচ খেলেছি সবমিলিয়ে। ইতিবাচক ব্যাপার হলো শেষ দুই তিনটি ম্যাচ আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় ভালো হয়েছে। তো আশা করি এবং আমি বিশ্বাস করি যে আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও আমি নিয়মিত রান করতে পারব। আমার বিশ্বাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি যখন আরো বেশি ম্যাচ পাবো তখন সেখানেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারব। অনেক কিছু করার বাকি আছে।

সারাবাংলা: আপনি কী মনে করেন আরও পরিপক্ক হয়ে জাতীয় দলে এলে ভালো হতো?

শান্ত: আমার কাছে আসলে এমন কিছু মনে হয় না। আমার শুধু মনে হয় এখন পারফর্ম করার সময়। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমার অভিষেক হয়েছে। এরপর তিন সাড়ে তিন বছর কেটে গেছে। সত্যি বলতে আমি জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলাম। তবে এইচপি (হাই পারফরম্যান্স) বলেন ‘এ’ দল বলেন, নিয়মিত খেলেছি। এমনকি জাতীয় দলের প্রায় প্রতিটি ক্যাম্পেই আমি ছিলাম। আমার মনে হয় প্রস্তুতি অনুযায়ী ভালো অবস্থায় আছি। এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে নিয়মিত পারফর্ম করা। এবং দলকে জেতানো। এ ধরনের দায়িত্ব নিয়ে আমার শুরু করা উচিত আমার মনে হয়। আমি যত বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো ততো আমি বেশি অভিজ্ঞ হবো।

সারাবাংলা: বলা হয়ে থাকে মুশফিক ও আপনার পরিশ্রমের ধরন প্রায় কাছাকাছি। আপনি এটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

শান্ত: ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি আজকে রান করবো কালকে করব না। কালকে করব তারপর দিন করব না। আমার মনে হয় আমি যদি কাজের প্রতি সৎ থাকি এবং আমার স্কিলটা ঠিক থাকে নিয়মিত যে কাজগুলো আমার করা দরকার সেগুলো যদি করতে পারি তাহলে আমি ধারাবাহিক হতে পারব। প্লেয়ার হিসেবে একদিন রান করব একদিন করবো না এটাই স্বাভাবিক। আমার কাছে প্রত্যেকদিন রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ না। ধরেন একদিন রান করলাম কিন্তু পরিশ্রম কমিয়ে দিলাম এটা আবার ঠিক না। আমার প্রতিদিনের একটি পরিকল্পনা থাকে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করাটাই আমার প্রধান লক্ষ্য।

সারাবাংলা: আপনার ব্যাটিং এর মূল বৈশিষ্ট্যটা যদি বলতেন।

শান্ত: আমার কাছে যেটা মনে হয় আমি ম্যাচের পরিস্থিতি আঁচ করতে পারি এবং সে অনুযায়ী খেলতে পারি দলের যে জিনিসটা প্রয়োজন সে অনুযায়ী আমি খেলতে পারি। কিন্তু এই জায়গাটাতেই আরও উন্নতির প্রয়োজন আছে।

সারাবাংলা: আপনার মধ্যে স্বভাবসুলভ নেতৃত্বে গুণ আছে। এটা কীভাবে দেখেন?

শান্ত: আমি নেতৃত্ব খুবই উপভোগ করি। আমি যেসব জায়গায় নেতৃত্ব দিয়েছি আপনি যদি খেয়াল করেন দেখবেন, ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-২৩ দল, হাই পারফরম্যান্স; যেখানে অধিনায়কত্ব করেছি ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছি দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করার। আর ফিল্ডিং এর সময় যদি কখনো এমন মনে হয় যে অধিনায়ককে পরামর্শ দেওয়া প্রয়োজন সেটা আমি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে প্রধানত আমি নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারটা খুবই উপভোগ করি। এবং আমি এটা করতে পছন্দ করি, আমার কাছে মনে হয় আমি যখনই দায়িত্ব নেই সেটা আমার পারফরম্যান্সেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সারাবাংলা: আপনি দারুণ ফিল্ডিং করেন। সেজন্য নিশ্চয়ই আলাদা সময় দিতে হয়?

শান্ত: প্রতিদিনই ফিল্ডিং নিয়ে আলাদা ভাবে কাজ করি। ব্যাটিং বোলিং এটাতো থাকেই। আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ডিং। সবার আগে ফিল্ডিং যদি উন্নতি করতে পারি তাহলে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দলের জন্য খুব ভালো হয়। তাই প্রতিদিনই চেষ্টা করি ফিল্ডিংটা অনুশীলন করার।

সারাবাংলা: আপনি যে অর্ডারে ব্যাটিং করেন সেখানে বাংলাদেশ দলে প্রতিযোগিতাটা খুব বেশি। নিয়মিত হতে কী করতে হবে বলে মনে হয়?

শান্ত: নিয়মিত হতে গেলে আমাকে নিয়মিত রান করতে হবে এটা খুব সহজ কথা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা ভালো। আরামে কোনো কিছু পেয়ে গেলে সেটার মূল্য আমরা দিতে পারি না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমি উপভোগ করি। তাছাড়া আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্য কারো সঙ্গে না নিজের সঙ্গে। আমি যদি ভালো করতে পারি জায়গাটা আমি অটোমেটিক্যালি ধরে রাখতে পারব। কে ভালো করলো কে খারাপ করলো এ ধরনের চিন্তাভাবনা কখনোই করি না‌। আমি যদি নিয়মিত পারফর্ম করি আমার জায়গা পাকাপোক্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কেউ খারাপ খেললে আমি জায়গায় পাব এরকম চিন্তা ভাবনা আমি কখনোই করি না।

সারাবাংলা: কোন ফরম্যাট বেশি উপভোগ করেন?

শান্ত: ওয়ানডে যেহেতু বেশি খেলেছি, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কথা যদি ধরেন সেহেতু ওয়ানডে বেশি উপভোগ করি। তিন ফরম্যাটেই যেন জায়গাটা পাকাপোক্ত করতে পারে সেজন্য বেশি কাজ করা হয়। কিন্তু ওয়ানডে টা আমি বেশি পছন্দ করি।

সারাবাংলা: করোনাকালের গত চার মাসে আপনার জীবনে বিয়ে ব্যতীত সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা কি এসেছে?

শান্ত: আমার কাছে মনে হয় ধৈর্য বেড়েছে। সবার সঙ্গে খাপ খাইয়ে থাকার যে একটা ব্যাপার এটা হয়েছে। আগের থেকে বেশি এডজাস্ট করা শিখেছি ও ধৈর্য ধরতে শিখেছি।

সারাবাংলা: আপনাকে ধন্যবাদ।

শান্ত: আপনাকেও।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন