বিজ্ঞাপন

বিএনপিকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার আহ্বান আওয়ামী লীগের

July 29, 2020 | 9:16 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে চাই, বিএনপি কী করছেন? কোন কাজটা করছে তারা বলুক! উপদ্রুত এলাকায় যান। আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি ঘুমাইয়া আছে? আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি এলাকা ছেড়ে দিয়েছে? দেখেন; তারা তাদের সকল শক্তি নিয়ে জনগণের পাশে আছেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠক শেষে তিনি এ সব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।

মতিয়া চৌধুরী করোনাভাইরাস দুর্যোগ ও বন্যাকবলিত এলাকায় সাধারণ মানুষের সহায়তার কোনো কমতি নেই। সরকার, স্থানীয় জনপ্রিতিনিধি এবং দলের নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষের পাশে নিরবচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘গত পরশুদিন রাতে আমার নির্বাচনি এলাকা থেকে আসলাম। আমি দেখলাম সেখানে নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধি তৃণমূল পর্যায়ে আছেন, তারা রীতিমতো বলছেন যে, আমরা ত্রাণ দিতে দিতে হাঁপায়া উঠছি। আমি এক তরফা বক্তব্য শুনিনি। যারা ত্রাণ গ্রহিতা তাদেরও জিজ্ঞাসা করলাম, কী অবস্থা? বললেন, না গো আপা খাওয়ার কোনো কষ্ট নেই।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা ত্রাণ কার্যে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তারা জনগণের প্রতি সেবার করার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে কাজ করছে। এখানে বিএনপি বা অন্য দলের জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাউকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে না। সবাইকে সমানভাবে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। এটাই আওয়ামী লীগের দর্শন, এটাই আজকে প্রতিষ্ঠিত।’

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘একদিকে করোনা আবার অন্যদিকে বন্যা আসছে। নিঃসন্দেহে এটা একটা গুরুতর চ্যালেঞ্জ। প্রকৃতি এবং অদৃশ্য শত্রু করোনার মোকাবিলা; দুইটাকে মোকাবিলা করছেন সবচাইতে বলীয়ান এবং অটল বিশ্বাসী শেখ হাসিনা। তিনি এই দুর্যোগে কাণ্ডারি হিসাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। এখানে অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু আমি বিনয়ের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করতে চাই, বিএনপি কি করছেন? বিএনপি কোন কাজটা করছে তারা বলুক!’

বিএনপিকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যান উপদ্রুত এলাকায়। আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি ঘুমাইয়া আছে? আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি এলাকা ছেড়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগের কর্মীরা কি পলায়ণপর মনেবৃত্তি নিয়ে আছে? তারা তাদের সকল শক্তি নিয়ে জনগণের পাশে আছেন।’

বিজ্ঞাপন

১৯৯৮ সালের বন্যাতে সেদিন এফএও বলেছিল, দুই কোটি লোক না খেয়ে মারা যাবে? দুই কোটি লোক তো দূরের কথা, দুইটা পিঁপড়াও না খেয়ে মরেনি। এটা আমরা অহংকার করি না, এটা আমাদের কর্তব্য। সময়ের আহ্বানে চিরদিন আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছে। সেখানে আমাদের গাইডলাইন হিসাবে কাজ করেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার দুস্থ মানবতার প্রতি তার যে পরিশ্রম; তাদের যে অহর্নিশি রক্ষা করার চেষ্টা, এই চেষ্টাকেই আওয়ামী লীগের কর্মীরা অনুসরণীয় অনুকরণীয় হিসেবে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিপদ কাটবে, শ্রাবণ মাস চলছে। ভাদ্রে অবশ্য আরেকটা চাপ আসার কথা। এটা আমাদের নেত্রী বলেছেন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব, ভাদ্রের সেই ঠেলা যেন আর না আসে। এই শ্রাবণের ওপর দিয়েই এটা চলে যায়। এ বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এই পানির ভিতরের জনজীবনকে স্বাভাবিকতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের নেত্রী অতন্দ্র প্রহরীর মতো শুধু পাহারা দিচ্ছেন তা নয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। আমরা আছি, শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা চিরদিনেই এগিয়ে গেছি, দেশ এগিয়ে গেছে, আমরা এগিয়ে যাবো। আমরা জাগ্রত আছি, সক্রিয় আছি। বসে বসে তাঁমাশা দেখছি না, সক্রিয় আছি এবং আর্তমানবতার প্রতি আমাদের কর্তব্য পালনে জন্য ব্রত আছি।’

অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমরা এখন একটি নতুন পরিস্থিতিতে মুখোমুখি হয়েছি। একদিকে করোনাকালীন সময়, আরেকদিকে বন্যা কবলিত এলাকা। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে, দেশের একটি বিশাল অঞ্চল, আমরা বসে নেই। আমরা একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা এই করোনার ভয়কে জয় করে এই বন্যা কবলিত মানুষের পাশে থেকে দাঁড়ানো শুরু করে ধানকাটার মহোৎসবও কাজ করেছি। আমরা বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিদিন যোগাযোগ করছি। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেই শুধু যোগাযোগ করছি না, আমাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষেরা ঈদ উদযাপন করতে পারছেন না, আমরা তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা দোয়া করি, যাতে উজানের পানি অচিরেই নেমে যায় এবং তাদের কষ্ট লাঘব হয়।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/ একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন