বিজ্ঞাপন

সঞ্চয়পত্রে বিক্রি কমেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা

August 2, 2020 | 9:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু তার আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ফলে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ৩৫ হাজার ১১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত অর্থবছরে মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নিলেও বিক্রি কমতে থাকায় পরবর্তীকালে তা কমিয়ে ১১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা ধরা হয়। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছিল। ফলে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লাগাম টানতে বেশ কিছু শর্ত ও বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। ফলে ২০১৯ সালে প্রতিমাসেই কমে আসছিল সঞ্চয়পত্রের বিক্রি। বছর শেষে সঞ্য়পত্র বিক্রি তলানীতে নেমে আসে।

এদিকে করোনা মাহামারিতে সঞ্চয় তো দূরের কথা উল্টো সঞ্চয় তুলে নিচ্ছেন অনেক গ্রাহক। বিশেষ করে গত মার্চ থেকে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর স্থবির হতে শুরু করে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে সঞ্চয় করার চাইতে বরং সঞ্চয় তুলে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। এর ফলে সামনের মাসগুলোতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের চাইতে তুলে নেওয়ার পরিমাণ আরও বেশি বাড়তে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এবং অর্থনীতিতে প্রত্যাশিত গতি না আসলে আগামী দিনে সঞ্চয়পত্র থেকে টাকা তুলে নেওয়ার হার আরও বাড়বে।

উল্লেখ্য বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রে একজন ব্যক্তি একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা, যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন