বিজ্ঞাপন

চসিকে ২৪ জনকে একযোগে বদলি, সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ তদন্তের নির্দেশ

August 12, 2020 | 8:10 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের সাত দিনের মধ্যে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের অনুমোদনে এই রদবদল হয়েছে। এছাড়া নগরীর ফুটপাত, সড়ক ও সড়ক বিভাজকে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য চসিকের আইন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসক সুজন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১২ আগস্ট) চসিকের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীর সই করা অফিস আদেশের মাধ্যমে ২৪ জনকে বদলি করা হয়েছে। তাদের ১৬ আগস্টের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে অবশ্যই যোগ দিতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নবনিযুক্ত প্রশাসক মহোদয় চান, সিটি করপোরেশনটা আরও ভালোভাবে চলুক। কাজে আরও গতিশীলতা আসুক। উনার অনুমোদনেই রদবদল করা হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

বদলি আদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব প্রশাসনের গতিশীলতা ও শৃঙ্খলা আনতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বদলি হওয়া রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আছেন— কর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মহিউদ্দিন আহমেদ সরওয়ার চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, আনিসুর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন, জানে আলম, সাবেক উল্লাহ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, এ কে এম সালাহউদ্দিন, শাহ আলম, প্রবীর কুমার চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কৃষ্ণপ্রসাদ দাস ও নুরুল আলম চৌধুরী।

আরও আছেন উপকর কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন চৌধুরী, উত্তম কুমার দাশ, রাজেশ চৌধুরী, রতন ভট্টাচর্য, মোবারক উল্লাহ, তুষার কান্তি দাশ, শীতল দত্ত, মো. মোর্শেদ, রতন চন্দ্র ভৌমিক, ভবতোষ চৌধুরী ও লুৎফর রহমান।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকে সৌন্দর্যবর্ধনে কার্যাদেশ বিধি অনুযায়ী দেওয়া হয়েছিল কি না এবং এতে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কি না, সেটা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসক।

বিজ্ঞাপন

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘রদবদল একেবারেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যেহেতু নতুন প্রশাসন এসেছে, রদবদলের মধ্য দিয়ে কাজে গতিশীলতা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। সৌন্দর্যবর্ধনের নামে অনেক ফুটপাতে বা যত্রতত্র দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করা হয়েছে কি না, সেটা আমরা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছি। এসব জায়গার মালিক স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আইন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি।’

সদ্যবিদায়ী মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আমলে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে সমালোচনা আছে।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন