বিজ্ঞাপন

‘শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড আর সিরিজ বোমা হামলা একইসূত্রে গাঁথা’

August 17, 2020 | 6:42 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা এবং সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা একইসূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৭ আগস্ট) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার’ বার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে বলতে গেলে আমাদের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হলেও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকেই কিন্তু নানা কৌশলে এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার পরপর অরাজকতা, হত্যা, চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা— এগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এগুলো সবই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের ফসল।’

‘একইভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের হাল ধরলেন, তারপর থেকেও নানাভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে। বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জঙ্গি আবু জান্দাল যদি গ্রেনেডটি ঠিকভাবে ছুঁড়তে পারত, তাহলে সব শেষ হয়ে যেত। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আল্লাহ আমাদের নেত্রীকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এরপর আসলো সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা। পাকিস্তানের পরাজিত শক্তি জামায়াত ও তাদের দোসর বিএনপির আশ্রিত জঙ্গিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছিল। তারা দেশকে একটি জঙ্গিরাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে তারা সেটি পারেনি।’

বিজ্ঞাপন

ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও একাত্তরের পরাজিত শক্তি নানা নীলনকশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। চোখ-কান খোলা রেখে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের মন্ত্রী-এমপি এবং জিয়াউর রহমানের নষ্ট সন্তান তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। তারা এখনো শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘দলের ভেতরে দেখা যাচ্ছে, আমরা নিজেরা নিজেদের সমালোচনা বেশি করছি। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনা না করে নিজেদের সমালোচনা নিজেরা করা আত্মঘাতী। এতে বিভক্তি-বিভাজন বাড়ছে। এর পরিণতি শুভ হবে না।’

বিজ্ঞাপন

নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘দৃশ্যমান প্রতিপক্ষকে আমরা চিনি-জানি। কিন্তু ঘরের ভেতরে ঢুকে যেসব শত্রু বাসা বেঁধেছে তাদের আমরা চিনি না, জানি না। তারা একসময় ফণা তুলবে। এখন থেকে তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে না পারলে আরেকটি ট্র্যাজেডির মোকাবিলা আমরা করতে পারব না। সুতরাং যতই মতভিন্নতা থাকুক, দেশ ও দলকে ভালোবাসতে হবে।’

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দফতর সম্পাদক হাসান মাহমুদ চৌধুরী শমসের, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী।

ফাইল ছবি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন