বিজ্ঞাপন

২১ আগস্টে নিহতদের প্রতি আ.লীগের শ্রদ্ধা

August 21, 2020 | 2:05 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ১৬ বছর আগের এই দিনে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে দলটি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এদিন সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও একে একে শ্রদ্ধা জানান।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের শহিদ বেদীতে আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রদ্ধা জানান গ্রেনেড হামলায় নিহতদের। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেনসহ অন্যরা।

আরও পড়ুন- ‘বিএনপি সরকার জড়িত না থাকলে আলামত নষ্ট করলো কেন?’

এরপর একে একে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগসহ দলের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো শ্রদ্ধা জানায়। এসব সংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ বিভিন্ন ইউনিটের পক্ষ থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা হাজির হন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও উপস্থিত হয় শ্রদ্ধা জানাতে।

বিজ্ঞাপন

এদিন আওয়ামী লীগের আয়োজনে একটি স্মরণ সভাও অনুষ্ঠিত হয়। দলের প্রধান কার্যালয়ের এই সভায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড় পর্দায় শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

২০০৪ সালের এই দিনে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। একটি ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে সেদিন বক্তব্য রাখছিলেন ওই সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা। এর আশপাশে একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলে গোটা এলাকা পরিণত হয় রক্তাক্ত প্রান্তরে। ট্রাকে উপস্থিত নেতারা মানববর্ম তৈরি করে শেখ হাসিনাকে ঘিরে ফেললে সেদিন তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও একটি কানের শ্রবণক্ষমতা হারান। তবে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকসহ আহত হন কয়েকশ মানুষ।

হামলার ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায় ঘোষিত হয়। হামলার সময়কার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন