বিজ্ঞাপন

‘শত্রুরা থেমে নেই, তাদের শক্তি কমেনি’

August 21, 2020 | 11:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ‘যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল, যারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, সেই শত্রুরা এখনো থেমে নেই। তাদের শক্তি এখনো একটুও কমেনি। তাদের ষড়যন্ত্রও থেমে নেই। এই বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে শত্রুদের শক্তিকে ছারখার করে দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ নেতাকর্মীর স্মরণে চট্টগ্রামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় চসিক প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজন এসব কথা বলেন। শুক্রবার (২১ আগস্ট) নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে নগর আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সুজন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাঙালি জাতির জীবনে একের পর এক আঘাত আসতে থাকে। সবচেয়ে বড় আঘাত আসে জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে। এই হত্যাকাণ্ডের মূলে ছিল স্বাধীনতার চেতনাকে আঘাত করা। মিনি পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন ছিল তাদের। এরপর থেকে বারবার চেষ্টা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতাকে ভুলুণ্ঠিত করার। কিন্তু জাতির জনককে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি ঘাতকরা।’

‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে জাতির জনকের চেতনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেন। সেদিন বাঙালি জাতি আবারও জেগে ওঠে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যখন ‍মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। সেই হামলার পেছনেও ছিল স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র। ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্রযাত্রাকে চিরতরে নির্মূল করতেই, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই এই হামলার ছক আঁকে। সেদিন যদি শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা না পেতেন, তাহলে এই দেশ এতদিনে পাকিস্তান হয়ে যেত,’— বলেন চসিক প্রশাসক।

বিজ্ঞাপন

বিভেদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সুজন বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিভেদ-বিরোধ ষড়যন্ত্রকারীদের হাতকে শক্তিশালী করে। আমরা যদি এই রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারি, তাহলে আমরা আরেকটি ট্র্যাজেডি ঠেকাতে পারবো না। সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘একুশে আগস্টের ভয়াল হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক নেতাকর্মী। অনেকেই তাদের শরীরে এখনও স্প্লিন্টারের দুঃসহ যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। এই হামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদত আছে। এরই মধ্যে আদালতে যেসব খুনির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে, সেটা অবিলম্বে কার্যকর দেখতে চাই। তারেক রহমানকে অবিলম্বে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হোক।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন