বিজ্ঞাপন

‘আমি মহিউদ্দিনের চোখ দিয়ে এই নগরকে দেখি’

August 23, 2020 | 8:48 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে পূর্বসুরী মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে অনুসরণ করে দায়িত্ব পালনের কথা জানিয়েছেন খোরশেদ আলম সুজন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৩ আগস্ট) নগরীর ষোলশহর এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, চুয়ান্ন সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আটান্ন সালে সামরিক শাসন জারি, বাষট্টি সালে শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টিতে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণা এবং পরবর্তী সময়ে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই হলো বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের একটি ধারাবাহিক পরম্পরা। যারা একাত্তরে কেবল অস্ত্র হাতে লড়াই করেছেন, তারাই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা নন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ধাপে ধাপে অনেক মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক চেতনা ও ধারাবাহিকতা ছাড়া শুধু অস্ত্র হাতে নিলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না।’

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করলেও তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি ছিলেন ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে এ দেশে পাকিস্তানি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। যারা এ দেশেকে পাকিস্তান বানাতে ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা সফল হয়নি, ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ আরও প্রবল হয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী।’

বিজ্ঞাপন

গত ৬ আগস্ট থেকে চসিক প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে আমার পূর্বসূরী এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চোখ দিয়ে এই নগরকে দেখছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, আজ মহিউদ্দিন চৌধুরী বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। এটিই প্রকৃত সত্য। মহিউদ্দিন চৌধুরী সত্যিই একটি আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্ন দেখেছিলেন।’

‘মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্বপ্ন মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছেন। আমি এই নগরীর আকাশে বাতাসে মহিউদ্দিন চৌধুরীর চেতনার অনুরণন শুনি,—’ বলেন সুজন।

দলের মধ্যে বিভক্তির অবসানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শত্রুরা এখনো ঘরে-বাইরে আছে। নিজেদের মধ্যে বিভক্তি শত্রুদের শক্তিশালী করবে। প্রধানমন্ত্রী যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, সেই অভিযানে ঘরের শত্রুদেরও টার্গেট করা হয়েছে। কেউ রেহাই পাবে না। মনে রাখতে হবে দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।’

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে নগর মহিলা লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, ‘যারা পদ-পদবী নিয়ে নিষ্ক্রিয় আছেন, তাদের বুঝতে হবে দল না করলে তার কোনো মর্যাদা থাকে না। আমি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও আমার কর্মীদের উজ্জীবিত রেখেছি। মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের ঘরে ঘরে গেছেন।’

নগর মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর নীলু নাগের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মালেকা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমতুন্নেছা, অর্থ সম্পাদক আফরোজা কালাম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাসিনা আক্তার টুনু, হুরে আরা বিউটি, শারমিন ফারুক, রোকসানা আক্তার, আয়েশা আলম, সদস্য আবিদা আজাদ, আয়েশা ছিদ্দিকা, ফারহানা জাবেদ, পারভীন আক্তার, তছলিমা নূরজাহান রুবি, সোনিয়া ইদ্রিস, আয়েশা আক্তার পান্না, জেনিফার, শিরীন আক্তার, কামরুন নাহার বেবি, রুমানা আক্তার রুমা, শাহীন ফেরদৌসী, চেমন আরা, মিনু বেগম, জোহরা বেগম, হোসনে আরা সোমা, শাহীন আক্তার রোজী, নন্দিতা দাশ গুপ্তা, জাহেদা বেগম, মনোয়ার বেগম মনি, সুলতানা, শাবানা, তপতী সেন, সানিয়া কবির, জাহেদা বেগম।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন