বিজ্ঞাপন

রাজস্ব আদায়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান

August 24, 2020 | 9:05 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন করে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে করের হার না বাড়িয়ে পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এ জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএনসিসির অঞ্চল-২ (মিরপুর) এবং অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর সকল ওয়ার্ডে মাসব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু হবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ডিএনসিসির নগর ভবনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত এক প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সভায় মেয়র বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে মানুষের ঘরে বসে ট্যাক্স দিতে পারা উচিত। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নগরবাসী ডিএনসিসির সকল ধরনের ট্যাক্স ঘরে বসে অনলাইনে দিতে পারবেন, কাউকে ডিএনসিসির আঞ্চলিক অফিসে যেতে হবে না। চিরুনি অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে ট্যাক্স না বাড়িয়ে, ট্যাক্সের নেট (পরিধি) বাড়ানো। মোট রাজস্ব বৃদ্ধি পেলে নাগরিক সেবার মানও আরও উন্নত করা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আপাতত অঞ্চল-২ এবং অঞ্চল ৫ এ অভিযান চলবে। অন্যান্য অঞ্চলেও পরবর্তী সময়ে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে। অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, করের পরিধি বাড়ানো, বাদ পড়া হোল্ডিং বা প্রতিষ্ঠানকে করের আওতাভুক্ত করা, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং জনসাধারণকে পৌরকর প্রদানে উৎসাহ দেওয়া।’

বিজ্ঞাপন

মেয়র বলেন, ‘চিরুনি অভিযানে কর বহির্ভূত বাড়িঘর বা স্থাপনাকে এবং নতুন সৃষ্ট ফ্ল্যাট, বাড়িঘর ও স্থাপনা করের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও আইনসম্মতভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও নবায়নের আওতায় আনা হবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিরুনি অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরকে আহবায়ক এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে যুগ্ম আহবায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। একজন উপকর কর্মকর্তা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটি কর বহির্ভূত বাড়িঘর এবং ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করবে।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া, অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৫ এর ওয়ার্ড কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন