বিজ্ঞাপন

এমন একটা মানুষ ছিল না যে আম্মাকে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠাবে: পাপন

August 24, 2020 | 11:15 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

একটি দলকে নেতৃশূন্য করতে, দেশ থেকে তাদের নাম-নিশানা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে প্রতিপক্ষ কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে এবং রাষ্ট্রযন্ত্র কতটা নির্বিকার হতে পারে—  পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সে বিষয়টি হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ত্রী-পুত্র-পরিজনসহ সেদিন হত্যা করেছিল আততায়ীরা। আর সেই ভয়াবহতার মুখোমুখি হয়েও রাষ্ট্রযন্ত্র ছিল নির্বিকার। সময়ের হিসাবে ২৯ বছর ছয় দিন পর, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বোধহয় সেই একই বোধের মুখোমুখি হয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। সেদিন খুনিদের লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দলের নেতাকর্মীদের তাৎক্ষণিকভাবে গড়ে তোলা মানবঢালে সেদিন তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা আইভি রহমান ছিলেন তাদের একজন। সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে ফেরে আইভি রহমানের ছেলে পাপনকে।

বিজ্ঞাপন

সবশেষ মা’কে যখন দেখেছেন, তখন তার শরীর গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত। শরীর থেকে দেদারছে রক্ত ঝরছে। রক্ত লাগবে, কিন্তু ব্লাড ব্যাংক বন্ধ। ওষুধ লাগবে, অথচ ঢাকা মেডিকেল ও তার আশপাশে একটি ওষুধের দোকানও খোলা নেই। অপারেশন করাতে হবে, অথচ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সেদিন সেই কোনো ডাক্তার! অন্য কোনো হাসপাতালেও ভর্তি নিচ্ছিল না। যখন জানতে পারলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চিকিসা দেওয়া হচ্ছে, সিদ্ধান্ত নিলেন সেখানে নিয়ে যাবেন মাকে। অ্যাম্বুলেন্স এলো, কিন্তু এমন একজন মানুষও সেখানে ছিল না যে তার মা’কে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেবেন!

শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আইভি রহমানকে তুললেও পুলিশ পথ রোধ করে জানায়, যাওয়া যাবে না। অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর সম্মিলতি সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) জায়গা মেলে। তবে সেখানে নিতেও যে ঝক্কি পোহাতে হয়েছে, যে কুৎসিত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তা নজিরবিহীন। সব চেষ্টা, সব সংগ্রামের অবসান ঘটিয়ে অবশ্য সেখানে ভর্তির দুই দিন পরই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আইভি রহমান।

২৪ আগস্ট (সোমবার) মা আইভি রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে গণমাধ্যমের সামনে এভাবেই সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান নাজমুল হাসান পাপন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় বনানী কবরস্থানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আইভি রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বিজ্ঞাপন

নারকীয় সেই হামলার দিনের স্মৃতি তুলে ধরে পাপন বলেন, ‘হামলার পর প্রথম যখন আমি মা’কে দেখতে পাই, তখন উনি হাসপাতালে। প্রথমে শুনি স্পটে (জনসভাস্থলে) আছেন। ওখানেই যাচ্ছিলাম গাড়ি করে। কাছকাছি যাওয়ার পর বলা হলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওখানে ছুটে গেলাম। গিয়ে যে দৃশ্য দেখলাম, তা বর্ণনা করার মতো নয়, এত বীভৎস! চারদিকে হতাহতরা পড়ে আছে রক্তাক্ত দেহ নিয়ে। হাসপাতালে ঢোকার পরে কোথাও আম্মাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আম্মাকে কোথায় পাব, জানি না। কারণ  বারান্দার মধ্যে আহত, নিহতরা শুয়ে আর্তনাদ করছিল। কোনো ডাক্তর বা চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থাই নেই। একটা সময় আমাদের ডাক্তার জালাল ভাই (মোস্তফা জালাল) বলল, তোমার আম্মা তো আরেক জায়গায় আছে। উনিই নিয়ে গেলেন আমাকে।’

পাপন বলেন, ‘ওই ঘরের মধ্যে সব মাটিতে মানুষের স্তূপ পড়ে আছে, চিৎকার করছে, আর্তনাদ করছে। রক্তাক্ত অনেককে মৃত বলেই মনে হয়েছে। একটা টেবিলের ওপরে আম্মাকে দেখি প্রথম। কিন্তু আমি দরজার বাইরে। আমি যে আম্মার কাছে যাব, যেতে হলে ওনাদের ওপর দিয়ে যেতে হবে। কোনো জায়গা নেই যে পা ফেলা যায়। যেতে হলে ওনাদের ওপর দিয়ে যেতে হবে। বেঁচে আছেন না মারা গেছেন, আমি তখনো জানি না। একটি কাপড় দিয়ে ঢাকা। আমি দরজার বাইরে থেকে একটা কথাই বললাম চিৎকার করে, আম্মা, আমি চলে এসেছি। তুমি চিন্তা কোরোনা। কথাটা বলার পরে আম্মা একটু মাথাটা নাড়ল। মনে হলো এদিক ওদিক মাথা ঘোড়াচ্ছে। তাতে মনে হলো বেঁচে আছে। আর আমার কথাটা শুনতে পেরেছে। হয়তো তা নাও হতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

এমন একটি ভয়াবহ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে তখন রক্তাত অবস্থায় শত শত আহত মানুষের ভিড়। অথচ সেখানে ছিলেন না চিকিৎসক, বন্ধ ছিল ব্লাড ব্যাংক। সে কথা বলতে গিয়ে অজান্তেই কেঁপে ওঠেন আইভিপুত্র পাপন। বলেন, ‘ওখানটায় প্রথমে আমাকে বলা হলো রক্ত লাগবে। ব্লাড ব্যাংক বন্ধ। এরকম একটা ঘটনা ঘটার পরে হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া— এটা বিস্ময়কর ব্যাপার। ওষুধ লাগবে। শুধু আম্মার না, অন্যান্য যারা পড়ে আছে তাদেরও ‍ওষুধ লাগবে। ওখানে শতশত দোকান, সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো ওষুধের দোকান খোলা নেই। আপনি চিন্তা করতে পারেন, এরকম একটা ঘটনা ঘটল, এতগুলো মানুষ আহত হলো, তাদের চিকিৎসার কোনো অবস্থাই রাখা হয়নি। কেউ চিকিৎসা নিতে পারবে না, এমন একটা পরিস্থিতি। তারপরে  ডাক্তার লাগবে। তাৎক্ষণিক আম্মাকে অপারেশন করতে হবে। বললাম, ওরা বলে কোনো ডাক্তার নেই! এটা কী ধরনের কথা?’

পাপনের বিশ্বাস, সেদিন হাসপাতালে এমন অচলাবস্থার পেছনে রাষ্ট্রীয় মদত ছিল। তিনি বলেন, ‘এটা তো বিদেশ থেকে কেউ এসে করে দিয়ে যায়নি। আর এটা তো কোনো সন্ত্রাসীও করেনি। কারণ হাসপাতাল তো আর সন্ত্রাসীরা চালায় না। মানে যারা মেরেছে, তারা তো হাসপাতাল চালায় না। এটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মদত। এই হত্যাকাণ্ডটা কারা ঘটিয়েছে, কিভাবে হয়েছে, এখনো সেটা বিচারাধীন। কিন্তু আমাকে যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন আমি নিশ্চিন্ত মনে একটি কথা বলতে পারি— বাংলাদেশে আপনি যেকোনো মানুষকে জিজ্ঞাসা করবেন, দিনমজুর থেকে শুরু করে একজন রিকশাচালক, কৃষক অথবা শিক্ষিত যেকোন মানুষকে জিজ্ঞাসা করবেন— সবাই জানে। তখন থেকে যার সঙ্গে দেখা হয়েছে, বলেছে এটা কারা করিয়েছেন, এটা সবাই জানে। কাজেই এটা লুকানোর মতো কোনো ঘটনা নয়।’

পরের ঘটনা বর্ণনায় বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘একটা সময় দেখলাম এখানে কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। কিন্তু কোথাও না কোথাও তো আম্মাকে নিয়ে যেতে হবে। কোথায় নিয়ে যাব? মাথায় ছিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে যাব। শুনেছি ওখানে ওখানে আওয়ামী লীগের বেশকিছু ডাক্তার আছে ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ন্যূনতম চিকিৎসা তো পাবে। আমি ওখানটায় যাওয়ার জন্য উদ্যত হয়েছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এমন একটা মানুষও নেই যে আম্মাকে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠাবে। আমি ওষুধ আনালাম বাইরে থেকে। পুরো ট্রাক ভর্তি করে ওষুধ আনালাম সবাইকে দেওয়ার জন্য, শুধু আম্মার জন্য না। ওখানে যারা ছিল, সবার জন্য আমার কোম্পানি থেকে ওষুধ আনলাম। তারপর অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে আম্মাকে নিয়ে বেরুব, গাড়ি স্টার্ট দিয়েছি, চতুর্দিক দিয়ে পুলিশ ঘেরাও করলো— কোথায় যেতে পারব না।’

বিজ্ঞাপন

এ দৃশ্য দেখে রীতিমত থ’মেরে যান পাপন। কেননা যেখানে সবার তাকে সাহায্য করার কথা, সেখানেস ‍উল্টো তার পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাপন বলেন, ‘দেখুন, কোথায় ওনারা সাহায্য করবে আমাকে যেন আম্মা চিকিৎসাটা পেতে পারেন, সেখানে আমাদের আটকে রাখলো। বলল ওপরের নির্দেশ, কোথাও যেতে পারবেন না। ওনাকে নিয়ে কোথাও যেতে পারবেন না। এটা তো বলার প্রয়োজন নেই কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল। ওখান থেকে তারপর আমি ফোন করতে শুরু করলাম। তখনো তো উনি বেঁচে আছেন। সেই মুহূর্তগুলোর কথাগুলো একটু চিন্তা করুন— ছেলে হিসেবে আমি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে এত বছর ধরে আছি, হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসা করিয়েছি, আত্নীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিত যার যখন যেটা লেগেছে সাহায্য করেছি চিকিৎসার জন্য। আর আমার নিজের মায়ের জন্য কিছু করতে পারছি না। এই যে একটা অসহায় বোধ, এটা যে কত কষ্টকর এটা আসলে বলে বোঝানো যায় না।’

অনেক কাকুতি-মিনতির পরে অবশেষে সিএমএইচে মা’কে ভর্তির অনুমতি পান পাপন। কিন্তু সেই পথটিও মোটেও সহজ ছিল না। দুঃখভারাক্রান্ত চিত্তে পাপন বলেন, ‘কিছু তো করা দরকার। আমি ওখান থেকে ফোন করতে শুরু করলাম। সরকারের লোকের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি, আকুতি জানিয়ে বলছি, আম্মাকে কোথাও নিতে দেওয়া হোক। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে জানানো হলো, সিএমএইচে নেওয়া যাবে। গেলাম সিএমএইচে। কিন্তু জাহাঙ্গীর গেটে বললো ঢুকতে দেবে না! আম্মা ওখানটায় পড়ে আছে। প্রচুর রক্ষক্ষরণ হচ্ছে। এখন বেঁচে আছে কি না, তাও জানি না। এরকম অবস্থা। প্রায় আধাঘণ্টার ওপরে বাইরে দাঁড়ানো। এরপর ঢুকতে দেওয়া হলো। কিন্তু সিএমএইচ যাওয়ার পর বললো, ভর্তি করতে পারবেন না। আর্মি অফিসারের সুপারিশ লাগবে। এই যে পদে পদে বাধা, আমি তখন আর্মি অফিসারের সুপারিশ কোথায় পাব! এখন কে চাকরিতে আছে না আছে, আমি জানি না, কাউকে চিনি না। কোথা থেকে সুপারিশ দেবো, বলেন?’

হাসপাতলে ভর্তির পর ২৩ আগস্ট রাতে মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা হয় পাপনের। ওই রাতে ১২টার দিকে মা’কে দেখে যাওয়ার পর রাত ২টার দিকেই তাকে ফোন করে জানানো হয়, আইভি রহমান আর বেঁচে নেই। সে খবর পেয়ে মাকে দেখতে যেতে চাইলেও হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, দেখা যাবে না।

‘২৩ তারিখ রাত ১২টার দিকে আমি বাসায় চলে এসেছি। ২টার সময় ফোন করে বলা হলো, খবর পেয়েছেন? আমি বলি কী খবর? বলে, আপনার আম্মা মারা গেছে। আম্মা মারা গেছে মানে? একটু আগেই তো দেখে এলাম, ১২টার সময়। বলল, উনি মারা গেছে। আমি বললাম আমি আসছি। বলল, না, এসে লাভ নেই। লাশ দাফন দিয়ে দিচ্ছি। আমি বললাম, দাফন দিয়ে দিচ্ছি মানে? আমরা দেখব না? বলল, না। আমরা এখানেই দাফন দিয়ে দিচ্ছি। আমাকে এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো লাশ দেখতে দেবে না, বাসায় নিতে দেবে না, জানাজা পড়তে দেবে না। সব ওখানেই করবে ওরা। এবং আমি যেতে যেতে আম্মাকে গোসল করিয়ে দাফনের জন্য প্রস্তুতও করে ফেলেছিল। পরে যাই হোক কোনোরকমে আমাকে আমরা নিয়ে গিয়েছি।

পাপনের দাবি, এসবই তৎকালীন সরকারের নির্দেশে হয়েছে। তিনি বলেন, ভয়াবহ সেই হামলার ১৬ বছর পরও যখন বিরোধী দলের নেতা, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা সদর্পে মিথ্যাচার করে বেড়ান, তখন তার ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

‘প্রতিটি পদে পদে বাধা! বলা হলো, ওপর থেকে নির্দেশ থেকে হয়েছে। এই ওপর থেকে মানে কী? সরকার ছাড়া এই নির্দেশ কে দেবে? তখন তো সরকার ছাড়া কিছু নেই। এই কথাগুলো বলার পেছনে কারণ একটাই। আমি এজন্যই বলছি যে খুব বেশি দুঃখ লাগে আজকাল। এখনো আপনি যদি ২১ আগস্ট এলে টিভিতে টকশোগুলো দেখেন, কিছু লোক এখনো মিথ্যাচার করে বেড়ায়। এটা কি সহ্য হয়? রাজনীতিবিদরা শুধু মিথ্যাচার করে, তা তো না। আপনি দেখেন, তারা নাকি ডাক্তার। আমি এখন টিভি দেখি না। ২১ আগস্ট দুয়েকটা টিভি চ্যানেল ছেড়ে দেখি চিকিৎসক, নামকরা আইনজীবী— তারা এসে এখনো মিথ্যাচারগুলো করে যাচ্ছে! এই দেশে এরকম মানুষ থাকলে এই দেশ কোথায় যাবে? কী লাভ আপনার?,’— ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলেন পাপন।

তিনি এ ভেবেও অবাক হন— এখনো এতটা সাহস তারা কোথায় পায়? বলেন, ‘আমি একটি মন্তব্য দেখলাম, কাল একজন বিএনপি নেতা বলছেন— বিএনপির নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে এই ষড়যন্ত্র! সারা পৃথিবীর সবাই জানে, এ দেশের মানুষও জানে যে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য এই গ্রেনেড হামলা করা হয়। আজকে ১৬ বছর পরে এসে এমন লোকও আছে যে বলতে সাহস পায় যে আক্রণনটা বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে করা হয়েছে! এর চেয়ে জঘন্যতম মিথ্যাচার হতে পারে? আমার তো ভয় হয় যে যদি আবার কখনো সুযোগ পায়, তারা ক্ষমতায় এসে বলবে যে আমিই আমার আম্মাকে হত্যা করেছি! এই কথটা বলাই এখন ওদের বাকি আছে।’

সারাবাংলা/এমআরএফ/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন