বিজ্ঞাপন

নেতৃত্বের ক্ষমতাই বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বে আলাদা করেছে: জেমস ম্যানর

August 26, 2020 | 4:05 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং স্বাধীনতার পরবর্তীকালে নতুন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা আজও বিশ্বে এক বিরল দৃষ্টান্ত। পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের জাতির পিতার থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে আলাদা করেছে তার অক্লান্ত সংগ্রাম এবং নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা।

বিজ্ঞাপন

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক অক্সফোর্ড পলিটিকাল রিভিউ (ও. পি. আর.) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল’ এন্ড পলিটিক্স রিভিউ (ডি. ইউ.এল. পি. আর) এর যৌথপ্রযোজনায় আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এক বিশেষ অনলাইন সেমিনার বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।ও.পি. আর এবং ডি.ইউ.এল.পি.আর এর আয়োজনে ভার্চুয়াল এই সেমিনারটি মঙ্গলবার (২৫ আহস্ট) রাতে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে কমনওয়েলথ স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক জেমস ম্যানর ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর সেলিম মাহমুদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল এন্ড পলিটিক্স রিভিউ এর এডিটর ইন চিফ মো. আজহার উদ্দিন ভূইয়া এবং অক্সফোর্ড পলিটিকাল রিভিউ এর নিকোলাস লিয়াহ যৌথভাবে এই আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন। দেশ-বিদেশের প্রায় ৪০ হাজার দর্শক এই আয়োজনে যুক্ত ছিলেন।

সূচনা বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রস্তাবনাটি তুলে ধরার পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত নতুন রাষ্ট্রে মাত্র ১০ মাসের মধ্যে যে সংবিধান জাতির পিতা উপহার দিয়েছিলেন, সেই বিষয়টি তুলে ধরেন। এছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্রনীতিতে জাতির পিতার ভূমিকা তার আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রামের মূল অংশ জুড়েই মাটির মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন যা তাকে জাতির পিতা হিসেবে বাঙালির নিকট পৌঁছে দিয়েছে। ড. সেলিম মাহমুদ ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে বঙ্গবন্ধুর নীতি এবং পথচলার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। সেখানে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া, ভারতীয় সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং ন্যায়ভিত্তিক সংবিধান উপহার দেয়ার বিষয়গুলো ফুটে ওঠে।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনায় ড. জেমস ম্যানর বলেন, পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের জাতির পিতার থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে আলাদা করেছে তার অক্লান্ত সংগ্রাম এবং নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা। আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের পেছনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অবর্ণনীয়।

এছাড়াও সেমিনারের সবশেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন বিষয় আলোকপাত করা হয়। ড. জেমস ম্যানরের মতে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রে আমেরিকার রাজনৈতিক এবং পররাষ্ট্রীয় প্রভাব রয়েছে যা ১৯৭৫ সালের ‘বাকশাল’ গঠনের ফলে সংঘটিত হয়।

পরবর্তীতে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং ড. সেলিম মাহমুদ আরও যোগ করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে ধ্বংস করে দেয়ার প্ররোচনা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে তারই প্রতিফলন হিসেবে আমরা দেখি বঙ্গবন্ধুর এবং ৪ নেতার হত্যাকারীদের পরিপূর্ণ শাস্তি না হওয়া।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/টিসি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ডেমরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহততীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষে বড় ক্ষতির শঙ্কাধর্ম অবমাননার অভিযোগে কুবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারশেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের ইতিহাসের নতুন যাত্রামিয়ানমার থেকে এসেছে জি থ্রি রাইফেল-রকেট সেল, গ্রেফতার ৫গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনওসি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা তদন্তের নির্দেশশেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: নক্ষত্রের প্রজ্জ্বলনসম্পদের তথ্য গোপন, সাবেক পৌর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলাস্ত্রী হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন, ২২ বছর পর গ্রেফতার স্বামী সব খবর...
বিজ্ঞাপন