বিজ্ঞাপন

জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ৬৩ হাজার কোটি টাকা

September 6, 2020 | 1:45 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। সর্বশেষ গত জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৩১ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৩৮০টি লেনদেনের মাধ্যমে ৬২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।এটি এ যাবৎকালের এক মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) সর্বশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং কার‌্যক্রম পরিচালনা করছে।চলতি বছরের জুলাই শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজার। এটি আগের জুন মাস থেকে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।উল্লেখ টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে থাকে এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত জুলাই মাস শেষে এমএফএস সেবার লেনদেন ও গ্রহক সংখ্যা সঙ্গে সেবায় সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। এ সময়ে এমএফএস সক্রিয় গ্রাহক ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৪ কোটি ২৬ লাখ ৭৮ হাজারে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৫ জন।এমএফএস এ গেল জুলাইয়ে মোট ৩১ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৩৮০টি লেনদেনের মাধ্যমে ৬২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গত জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে ১৭ হাজার ৫৮ কোটি টাকা জমা পড়েছে।একই সময়ে উত্তোলন করা হয়েছে ১৯ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়াও রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। সর্বশেষ জুলাই মাসে এমএফএসে রেমিট্যান্স সংগ্রহ ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা্ এ সময়ে ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ১৭ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ ৯৩ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ে মোবাইলে বিভিন্ন সেবার বিল ৮৭৯ কোটি টাকা, কেনাকাটার বিল এক হাজার ১৩৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।এছাড়াও সরকারি পরিশোধ এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমএফএস লেনদেনের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে।পাশাপাশি একজন গ্রাহক তার ব্যক্তি মোবাইল হিসেবে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা স্থিতি রাখতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন