বিজ্ঞাপন

নিজেদের রেকর্ড ভেঙেই জিতলো বাংলাদেশ

March 10, 2018 | 9:48 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

এর আগে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান ছিল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সেটি ঢাকায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই লঙ্কানদের বিপক্ষেই আজ করলো ২১৫ রান। স্বাগতিক লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ২১৫ রানের টার্গেট পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ জিতেছে ৫ উইকেটে ব্যবধানে, হাতে ২ বল রেখে।

নিদাহাস ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভারতের বিপক্ষে যে একাদশ ছিল, সেটাই রেখে দিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা তোলে ২১৪ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে।

ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫.৫ ওভারে তামিম-লিটন তুলে নেন ৭৪ রান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এলবির ফাঁদে পড়েন লিটন। তার আগে ১৯ বলে দুটি চার আর পাঁচটি ছক্কায় করেন ৪৩ রান। দশম ওভারে দলীয় ১০০ রানের মাথায় বিদায় নেন তামিম। তার আগে ২৯ বলে ৬টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪৭ রান। ১৫তম ওভারে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। তার আগে ২২ বলে করেন ২৪ রান। দলীয় ১৫১ রানের মাথায় বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায়। মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ২০ রান করে ফেরেন।

বিজ্ঞাপন

শূন্য রানেই ফেরেন সাব্বির রহমান। দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক ৩৫ বলে ৫টি চার আর ৪টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৭২ রান। মেহেদি হাসান মিরাজ ০ রানে অপরাজিত থাকেন।

দুই দলের সবশেষ সিরিজে বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে শ্রীলঙ্কা। গত মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ (২-০) হারের পর এবার লঙ্কানদের তাদের মাটিতেই মোকাবেলা করেছে মাহমুদউল্লাহর দল। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সাড়ে সাতটায় শুরু হয় ম্যাচটি। স্বাগতিকদের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামে তামিম-মুশফিকরা।

এর আগে নিজেদের ফিল্ডিং ইনিংসে ম্যাচের পঞ্চম ওভারে বোলিং আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজ। বোল্ড করে তুলে নেন দানুশকা গুনাথিলাকার উইকেট। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ১৯ বলে ২৬ রান। দলীয় ৫৬ রানের মাথায় ভাঙে লঙ্কানদের ওপেনিং জুটি। দলীয় ১৪১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। ১৪তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে কুশল মেন্ডিসকে বিদায় করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাব্বিরের হাতে ধরা পড়ার আগে মেন্ডিস ৩০ বল খেলে দুটি চার আর পাঁচটি ছক্কায় করেন ৫৭ রান। একই ওভারে মাহমুদউল্লাহ ফেরান দাসুন শানাকাকে (০)।

বিজ্ঞাপন

১৫তম ওভারে তাসকিন ফেরান ২ রান করা দিনেশ চান্দিমালকে। শেষ ওভারে মোস্তাফিজ তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন। কুশল পেরেরা ৪৮ বলে ৮টি চার আর ২টি ছক্কায় করেন ৭৪ রান। সেই ওভারেই থিসারা পেরেরাকেও (০) ফেরান মোস্তাফিজ। উপুল থারাঙ্গা ১৫ বলে ৪টি চার আর ১টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৩২ রান।

তাসকিন ৩ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। আর কেউ উইকেট পাননি। রুবেল হোসেন ৪ ওভারে ৪৫, মিরাজ ৪ ওভারে ৩১, নাজমুল ২ ওভারে ২০, সৌম্য ১ ওভারে ১১ রান খরচ করেন।

নিদাহাস ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারত ম্যাচের হতাশা ভুলে মাহমুদউল্লাহ-তামিম-মুশফিক-মোস্তাফিজদের সামনে ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ। ওদিকে, বাংলাদেশকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে উদ্বোধনী খেলায় লঙ্কানদের কাছে হেরে যাওয়া ভারত। চলতি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজেও লঙ্কানরা উড়ন্ত সূচনা করেছে ভারতকে হারিয়ে। অথচ, দ্বিতীয় সারির সেই ভারতের বিপক্ষেই প্রথম ম্যাচে ততটা লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: দানুশকা গুনাথিলাকা, কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল, উপুল থারাঙ্গা, দাসুন শানাকা, থিসারা পেরেরা, জীবন মেন্ডিস, আকিলা ধনাঞ্জয়া, দুশমন্ত চামিরা এবং নুয়ান প্রদীপ।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন এবং নাজমুল ইসলাম অপু।

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন