বিজ্ঞাপন

ফোর্সেস গোল-২০৩০: নৌবাহিনীতে আরও একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ

March 11, 2018 | 8:25 am

এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: যুদ্ধক্ষেত্রে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র এই তিনপথে একই সঙ্গে কার্যকরভাবে অপারেশন চালাতে নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়তে সকল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে সরকার। ২০১২ সালে ঘোষিত ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’র আওতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে এর বহরে এবার যুক্ত হচ্ছে আরো একটি স্বাধীনতা-ক্লাস (টাইপ সি১৩বি) যুদ্ধজাহাজ।
চীনের রাষ্ট্রীয় জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের জন্য এই যুদ্ধ জাহাজের তৈরির কাজ এরই মধ্যে শেষ করেছে।

এই যুদ্ধজাহাজটি মূলত চীনের টাইপ ০৫৬ মডেলের আদলে নির্মিত। যে কোনো সময় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধজাহাজটি হস্তান্তর করা হবে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো বলছে, নৌবাহিনীর জন্য স্বাধীনতা-ক্লাস (টাইপ সি১৩বি) ৪টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে গত ২০১৬ সালে ২টি যুদ্ধজাহাজ হস্তান্তর করে চীন। এ দুটি হচ্ছে-বিএনএস স্বাধীনতা এবং বিএনএস প্রত্যয়।

এবার তৃতীয় জাহাজটি নির্মাণ শেষ হলো। গত ১২ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধজাহাজটি নির্মাণ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় চীনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চতুর্থ জাহাজটির নির্মাণ কাজও এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে তারা।
এই যুদ্ধ জাহাজটি সমুদ্রে একাধিক ভূমিকায় থাকবে। দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে- ওয়ারফেয়ার, সমুদ্র লাইনের সঙ্গে যোগাযোগ, অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, একই সঙ্গে আকাশ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠে নজরদারি, সামমেরিন ধ্বংস করার ক্ষমতা এবং শক্রর রাডারকে ফাঁকি দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই যুদ্ধ জাহাজটির।

বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতা-ক্লাস (টাইপ সি১৩বি) যুদ্ধজাহাজে তৃতীয় মাত্রার বহুমুখী রাডার রয়েছে। যা দিয়ে একই সঙ্গে আকাশ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠে নজরদারি করা সম্ভব। এই রাডার আকাশের ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ২০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এ ছ্ড়াাও পানিতে ৩২ কিলোমিটারের মধ্যে একযোগে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে এই যুদ্ধ জাহাজ।

এক হাজার তিন শ’ ত্রিশ টন ধারণ ক্ষমতার এই যুদ্ধ জাহাজকে তার পূর্ণশক্তিতে পরিচালনায় ৭৮ জন কর্মশক্তি থাকবে। যার মধ্যে ১৮ জন কর্মকর্তা এবং ৬০ জন ক্রু।

এতে সি-৮০২ টাইপ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল রয়েছে, আকাশে ধ্বংসযোগ্য এফএল ৩০০০ এন টাইপ মিসাইল এবং একটি ৭৬ এমএম কামান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সরকারের ঘোষণা দেয়া ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর প্রথম ধাপ এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রথম ধাপে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুইটি ফিগ্রেট, চীন থেকে দুইটি সামমেরিন ও দুইটি যুদ্ধ জাহাজ এবং দেশীয়ভাবে খুলনা শিপইয়ার্ড থেকে তৈরি করা যুদ্ধজাহাজসহ ২০টি যুদ্ধজাহাজ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে।

সামনে ২০৩০ সালের মধ্যে অত্যাধুনিক নৌবহর, সাবমেরিন, ডেস্ট্রয়ার, অত্যাধুনিক ফ্রিগেট শিপ, করভেট শিপ, মাইন সুইপার, প্যাট্রল ক্রাফট, অয়েল ট্যাঙ্কার, নেভাল এভিয়েশন, গবেষণা ও জরিপ জাহাজ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হবে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন