বিজ্ঞাপন

জয় হোক না হোক, উন্নয়ন যেন ব্যাহত না হয় : প্রধানমন্ত্রী

November 26, 2017 | 6:43 am

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় হোক না হোক, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেনো বন্ধ না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে দেশের কূটনীতিকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বিদেশে যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধী ও বিভিন্ন এজেন্সির চালানো পরিকল্পিত অপপ্রচার মোকাবেলায় বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে একইসঙ্গে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, নির্বাচনে জয় হোক না হোক উন্নয়নের ধারাবাহিতা ব্যাহত হয় এমন কিছু যেন কেউ করতে না পারে।

রোববার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আয়োজিত রাষ্ট্রদূত সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত তিনি এ আহ্বান জানান। দেশে এই প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের ৫৮টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের ৫৯ জন রাষ্ট্রদূত।

বিজ্ঞাপন

কোন দেশ যত ছোট বা যত বড়ই হোক না কেন, সমমর্যাদাই সরকারের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে এখন সবাইকে হিসেবে নেয়, সম্মানের চোখে দেখছে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সমস্যা হতে পারে কিন্তু সমাধানের জন্য আলোচনাই পথ। প্রতিবেশিদের সাথে সমস্যা হলে তৃতীয় পক্ষ কেন লাগবে। সমঝোতা চুক্তি হয়েছে সেজন্য ধন্যবাদ। আন্তর্জাতিক চাপ জারি রাখার পাশাপাশি বন্ধুত্বের সম্পর্কও রাখতে হবে।

মিয়ানমারের সাথে এই যে সমঝোতা স্মারক সই হলো এটি হলো দেশের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সাফল্য। এর আগে এত বড় সাফল্য আগে কখনো আসেনি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে দরজা বন্ধ করে রাখলে তো চলে না। বন্ধুত্ব বাড়িয়ে, আলোচনা করেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূতদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, বিনিয়োগ বাড়াতে দৃষ্টি দিতে হবে, দেশের স্বার্থের যেন সুরক্ষা হয় নজর রাখতে হবে। দেশি পণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে। জনশক্তি বাড়াতে কাজ করুন।

তিস্তার পানিচুক্তি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের কাছ থেকে পানি বাকি থাকলেও নগদ পাওয়া বিদ্যুৎ নিয়েছে বাংলাদেশ। তিস্তার পানি পেতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে নি বলেন, মানবিক কারণে আর্থসামাজিক চাপে দেশ। তবে রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সমর্থন দেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

আশ্রয় দেয়া ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে কুটনৈতিক তৎপরতা আরো বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

কুটনৈতিকদের জন্য নির্দেশনা : সম্মেলনে আসা কূটনৈতিকদের প্রতি বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিদেশি মিশনগুলোকে যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে, রাজনীতি থেকে অর্থনৈতিক-কুটনীতিতে মনোযোগ বাড়ানোর তাগিদ দেন। বিদেশে অধিক প্রবাসী সমৃদ্ধ এলাকায় বাংলাদেশ মিশনের বিশেষ নজর চান প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা মোকাবেলায় কুটনীতিকদের উঁচুমানের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।  বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, আঞ্চলিক যোগাযোগ, বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজার তৈরি, প্রবাসে বাঙালিদের দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত করাসহ বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।

নানান দেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অহেতুক অপ্রচার হয়, যার পেছনে আছে স্বাধীনতা বিরোধীরা, যাদের অনেক টাকা। শেখ হাসিনা লক্ষ্য রাখতে বললেন, অপপ্রচারের কারণে যেন দেশের অগ্রগতি ব্যাহত না হয়। দেশের মানুষ ভোট দিলে ক্ষমতায় আসব, না দিলে আসব না, কিন্তু দেশের উন্নয়ন যেন ব্যাহত না হয়।

একে

অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিন : রাষ্ট্রদূতদের প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন