বিজ্ঞাপন

বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কবরস্থ করা হয়েছে: ফখরুল

September 11, 2020 | 8:41 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কবরস্থ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় এ বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে, ‘অসদাচরণ, পলায়ণ ও প্রতারণার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।

এ দু’টি ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমতের মানুষদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য এটি সরকারের একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি। একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কবরস্থ করা হয়েছে। মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে বর্তমান সরকার একদলীয় রাজত্ব কায়েম করেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সরকারি অনাচার-অবিচার ও লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে কেউ যাতে টুঁ শব্দ করতে না পারে তার জন্য অব্যাহতভাবে চলছে স্বেচ্ছাচারী দুঃশাসন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষকদের ভিন্নমত প্রকাশের দায়ে চাকুরিচ্যুত করার হিড়িক পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের ঐতিহ্যকে লঙ্ঘন করে আওয়ামী চেতনা প্রতিষ্ঠিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে কর্তৃপক্ষ। ভিন্নমতের কৃতি শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুত করে অনাহারে-অর্ধাহারে রেখে নিঃশেষ করাটাই হচ্ছে সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এটি কোনক্রমেই কাম্য হতে পারে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। ইতোপূর্বে এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে যে গ্রাউন্ডে মামলা হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সেটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। মামলা নিষ্পত্তি না হতেই তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা সম্পূর্ণরূপে আইনবহির্ভূত সিদ্ধান্ত। এটি সরকারের প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান এর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ।’

তিনি বলেন, ‘সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একই চেতনায় বিশ্বাসী বলেই ভিন্নমতের শিক্ষকদের অস্তিত্ব সহ্য করতে পারছে না। তাই আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে ভিন্নমতের শিক্ষকদেরকে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

‘সরকারের আজ্ঞাবাহীদের বলতে চাই, সংযত হোন। দেশের মানুষকে আর নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত করবেন না। জনবিস্ফোরণের উত্তাল ঢেউয়ে কেউই রেহাই পাবেন না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন