বিজ্ঞাপন

পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ শুরু, উদ্বোধন করলেন পাটমন্ত্রী

September 15, 2020 | 1:36 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত মিলগুলোর অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাসহ মিল বন্ধ ঘোষণার সূত্রে অবসানকৃত শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমে ৩০ জন শ্রমিকের হাতে বকেয়া পাওনা তুলে দেওয়া হলো। এর পর পর্যায়ক্রমে সকলের হাতে বকেয়া পাওনা তুলে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডেমরার করিম জুট মিলসে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের হাতে সঞ্চয়পত্র তুলে দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং শ্রমিকলীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু।

জানা যায়, সরকারি সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলোতে বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান এবং পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি চালু মিলে কর্মরত সকল স্থায়ী শ্রমিকর গ্রাচ্যুইটি, পিএফ ও‍ ছুটি নগদায়নসহ গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে চাকুরি অবসায়ন করে ১ জুলাই থেকে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া বন্ধঘোষিত ২৫টি মিলের ২৪ হাজার ৬০৯ জন স্থায়ী কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বাবদ প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা এবং ২০১৩ সালের পর থেকে অবসরপ্রাপ্ত ১০ হাজার ১০৭ জন শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ ও ‍ছুটি নগদায়ন বাবদ পাওনা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকাসহ মোট প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা পর্যায়ক্রমে ৩টি অর্থবছরে পরিশোধের প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের আর্থিক দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে পাওনা চলতি অর্থবছরে এককালীন পরিশোধের সিদ্ধান্ত দেন। শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকের পাওনার ৫০ শতাংশ নগদে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র আকারে পরিশোধের নির্দেশ দেন।

আরও জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমিকদের শতভাগ পাওনা এককালীন পরিশোধের নিমিত্তে যাবতীয় পাওনাদির হিসাব নিরীক্ষাপূর্বক চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় নিরীক্ষা শেষে করিম জুটমিলের পূর্বে অবসর গ্রহণকারী ও সম্প্রতি অবসানকৃতশ্রমিকদের যাবতীয় পাওনা বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ ইতোমধ্যে ছাড় করেছে। সেই অর্থ থেকে আজ করিম জুটমিলের সকল শ্রমিকের পাওনার ৫০ শতাংশ নগদে (ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে) পরিশোধ করা হচ্ছে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ সঞ্চয়পত্র আকারে পরিশোধের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ৩০ জনের সঞ্চয়পত্র তাদের হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের কার্যক্রম শুভ উদ্বোধনও করা হয়।

সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন