বিজ্ঞাপন

মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি, করোনায় কমেছে মৃৎশিল্পীদের কাজ

September 21, 2020 | 8:09 am

মো. শাহাদাৎ হোসেন, লোকাল করেসপন্ডেন্ট

মঠবাড়িয়া: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। আর কিছুদিন পরই শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। তবে এবার করোনায় কমেছে শিল্পীদের কাজ।

বিজ্ঞাপন

আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং ২৬ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। সনাতনী পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার মহালয়া হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর। তবে এবার আশ্বিন মাস ‘মলিন মাস’ মানে অশুভ মাস। সে কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা হবে না। পূজা হবে কার্তিক মাসে। সেই হিসেবে এবার দেবী দুর্গা মত্যে আসবেন মহালয়ার ৩৫ দিন পরে।

এ কারণে ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। পরদিন ২৩ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আচার অনুষ্ঠান। ২৪ অক্টোবর মহা অষ্টমী এবং ২৫ অক্টোবর মহানবমী পূজা। ২৬ অক্টোবর মহাদশমী বা বিজয়া দশমী হবে। এই দিন প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে দুর্গাপূজা হবে সে অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়েই উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। কাঁদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিলতিল করে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা।

বিজ্ঞাপন

কারিগর সুখরঞ্জন (৭৫) গুনরাজ বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় ১০-১২টি পূজামণ্ডপে কাজ করে থাকি এ বছর মাত্র ৭টি পূজামণ্ডপের কাজ করছি।’

উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে আসা শিল্পীরাও জানান, এবছর করোনাভাইরাসের কারণে তাদের আর্থিক অনেক ক্ষতি হয়েছে যা কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।’

মঠবাড়িয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ সাওজাল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করতে হবে। এ সম্পর্কিত ২৬টি নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকেই এ নিদের্শনা মেনে পূজা করতে হবে।’ এ বছর উপজেলায় ৭৬টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আযোজন চলছে।

বিজ্ঞাপন

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘পূজা মণ্ডপগুলোতে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক জানান, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে আয়োজনের লক্ষ্যে কেন্দ্র থেকে যে নিদের্শনা আসবে সে অনুযায়ী মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন