বিজ্ঞাপন

অদক্ষ চালকের কারণে কলমাকান্দায় ট্রলারডুবি: তদন্ত প্রতিবেদন

September 22, 2020 | 10:58 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দায় গত ৯ সেপ্টেম্বর গুমাই নদীতে ট্রলারডুবিতে ১২ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। চালকের অদক্ষতাকেই ওই ট্রলারডুবির প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে হাওরে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পাঁচটি সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান প্রতিবেদনটি জমা নেন।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— অদক্ষ চালকের ওভারটেকের কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যাত্রীবাহী ট্রলারটি কলমাকান্দার রাজনগর এলাকায় পৌঁছালে ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা তাদের তোলার জন্য ডাকছিল। এসময় যাত্রী তোলার জন্য ঘাটে ভিড়তে গিয়ে যাত্রীবাহী ট্রলারটি আরেকটি বলগেটকে ওভারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। তাতেই ১২ জন নিহত হন।

কাজি মো. আবদুর রহমান আরও জানান, এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কিছু সুপারিশ উঠে এসেছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। হাওরে কী ধরনের যানবাহন চলাচল করে, আমরা সেগুলোর তালিকা করতে বলে দিয়েছি। নৌরুটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিয়ের লাইসেন্স নিয়ে ১৬ শক্তির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন নৌযান চালানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিচ্ছি। খারাপ আবহাওয়ায় কোনো ধরনের নৌকা চলাচল করতে পারবে না— সে বিষয়টিও মনিটরিং করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালে সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থেকে ঠাকুরাকোণার পথে যাওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে যায়। ঘটনার দিন স্থানীয়রা পাঁচ নারী ও পাঁচ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। দুই দিন পর আরও দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন তিনি। কমিটিতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন জমা হলো আজ।

এদিকে, ঘটনার দুই দিন পর ১১ সেপ্টেম্বর আব্দুল ওয়াহাব (৪০) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ট্রলারচালক সোহাগ মিয়াসহ (৩৫) ছয় জনকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আব্দুল ওয়াহাব সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের অধিবাসী। তিনি ওই দুর্ঘটনায় বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মারা যায়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। তবে ট্রলারচালককে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন