বিজ্ঞাপন

চসিককে ‘আইনি জালে’ ফেলার চেষ্টা, বিপ্লব উদ্যানে দোকান অপসারণ

October 1, 2020 | 9:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নির্মাণ করা ১৫টি দোকান ভেঙে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। দোতলায় নির্মিত দোকানগুলো সরাতে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সৌন্দর্যবর্ধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনকে আইনি জটিলতায় ফেলার চেষ্টা শুরু করলে নির্ধারিত সময়ের আগেই সেগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী যৌথভাবে বিপ্লব উদ্যানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় সেখানে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল ইসলামও ছিলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধনের দায়িত্ব দেন রি ফর্ম লিমিটেড ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড নামের দু’টি প্রতিষ্ঠানকে। সেখানে দোতলা বিপণী বিতান নির্মাণ করা হয়। চসিকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৫ আগস্ট খোরশেদ আলম সুজন বিপ্লব উদ্যান পরিদর্শনে যান।

আরও পড়ুন- বিপ্লব উদ্যানের অবৈধ বসার আসন অপসারণ, দোকান সরাতে ৭ দিন সময়

বিজ্ঞাপন

প্রশাসক জানতে পারেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে করা চুক্তিতে বিপণী বিতানের দোতলায় দোকান নির্মাণের বিষয়টি ছিল না। চুক্তিতে ছিল, উদ্যানের পূর্ব পাশে প্রত্যেকটি ১৫০ বর্গফুটের মোট ২৫টি দোকান নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু প্রতিটি দোকান করা হয় ২০০ বর্গফুটের। দোতলায়ও দোকান নির্মাণ করা হয়। এছাড়া জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সামনে বসার জন্য স্থায়ী আসন বানানো হয়। ওই দিনই প্রশাসকের নির্দেশে দোতলার দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিপ্লব উদ্যানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নির্মিত বসার স্থায়ী আসনগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। দোতলার দোকানগুলো সরিয়ে নিতে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়।

চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘চুক্তিতে ২৫টি দোকান নির্মাণের কথা বলা হয়েছিল। বিপণী বিতান দোতলা করার কথা চুক্তিতে নেই। অথচ সেখানেও দোকান তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৪০টি দোকান নির্মাণ করা হয়। দোকানগুলো সরাতে সাত দিন সময় দিয়েছিলাম তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা করে। কিন্তু তারা আমাদের সহানুভূতির অপব্যবহার করে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। তারা আমাদের আইনি জালে ফেলার চেষ্টা করছে। এজন্য সাত দিন সময়ের আদেশ বাতিল করে আজ (বৃহস্পতিবার) দোতলার দোকানগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

মুফিদুল আরও জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে চারটি লোহার খাঁচা বানিয়ে উদ্যানের সবুজ অংশকে ঘিরে রেখেছে। সেগুলো অবিলম্বে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সেগুলোও ভেঙে দেওয়া হবে। এই চারটি লোহার স্থাপনা সরিয়ে নিলে বিপ্লব উদ্যানে আর কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন