বিজ্ঞাপন

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাসায় ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

October 3, 2020 | 1:41 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর হুজুরপাড়া এলাকায় বাসায় সেলিনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

বিজ্ঞাপন

নিহতের স্বামীর ভাতিজা আকিদুল ইসলাম জানার, সেলিনা বেগম এর স্বামী এস এম ওবায়দুল্লাহ এর নিজের বাড়ি কামরাঙ্গীরচর হুজুরপাড়া আমির হামজা রোডে। বাসাটি চারতলা। দ্বিতীয় তলায় থাকতেন সেলিনা। ওবায়দুল্লার দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনা।

আকিদুল বলেন, ‘চাচার বাসার পাশেই আমার বাসা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাচার বাসার সামনে অনেক লোকজনের ভিড় দেখতে পাই। হঠাৎ দেখি চাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধরাধরি করে অটো রিকশায় তোলা হচ্ছে। চাচা আমাকে দেখতে পেয়ে বলল, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। তোর চাচিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চল। এক পর্যায়ে আমরা চাচিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিই।’

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ বক্সের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত সেলিনার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছিল। আঘাতের ধরন দেখে মনে হয়েছে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে আঘাত করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সেলিনার ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বড় বোন মারা যাওয়ার পর ছোট বোন সেলিনার সঙ্গে ওবায়দুল্লাহর বিয়ে দিই। ৮/৯ মাস আগে বিয়ে হয়। এই বিয়ের বিষয়টি নিয়ে আগের ঘরের ছেলে মেয়েরা মেনে নিতে পারেনি। বিশেষ করে ইতালি থাকা ছেলে মাজহারুল ইসলাম বিপ্লব বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। কারণ বিপ্লব ইতালি থেকে বিভিন্ন সময় সেলিনা বেগমকে হত্যার হুমকি দিতো।’

কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি চারতলা বাসার নিচতলায় আগে ভাড়াটিয়া ছিল। তারা বাসা ছেড়ে দিলেও কিছু মালামাল রেখে যায়। আজকে সেই মালামাল নিতে এসে দুই যুবক তাদের বাসায় প্রবেশ করে এবং দ্বিতীয় তলায় গিয়ে সেলিনাকে বলে যে আপনার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমরা মালামাল নিতে আসছি। একপর্যায়ে সেলিনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় লোকজন দেখতে পায়।’

‘ঘটনার পরপরই ওই দুই যুবক পালিয়ে যায়। তবে বাসায় প্রবেশের আগে নিহতের স্বামীকে ফোন দিয়েছিল ওই দুই যুবক। নিহতের স্বামী বাইরে থাকায় সে তার স্ত্রীকে বিষয়টি ফোন দিয়ে জানায়নি। অথচ ওই দুই যুবক সেলিনাকে বলেছে আপনার স্বামীর সাথে আমার কথা হয়েছে। এ সব কথা ওবায়দুল্লাহর আগের ঘরের মেয়ে ইতি শুনেছে’ বলেন কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন