বিজ্ঞাপন

‘দুর্বৃত্তের কোনো দলীয় পরিচয় নেই’

October 6, 2020 | 7:44 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ‍ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপরাধের দায় অপরাধীর। অপরাধী যেই হোক তার পরিচয় হলো দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো, অপরাধী যত বড় নেতাই হোক, যত প্রভাবশালীই হোক তার অপকর্মের শাস্তি তাকে পেতেই হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি এক ধরণের সন্ত্রাসও বটে। ধর্ষণকে রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে ভিন্নখতে প্রবাহিত করলে সুষ্ঠু বিচারের প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অপরাধী যেই হোক, তারা সব দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। আমরা নিজেরাই স্বপ্রণোদিত হয়ে সব অপরাধের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি। সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ঘটনার বিচার কার্যও সম্পন্ন হয়েছে। এদের কারও প্রতি কোনো পক্ষপাত শেখ হাসিনার সরকার দেখাননি। নিজের দলের লোক হলেও তাদের রেহাই নেই। যেমন বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড, আরবার হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তারা ছাত্রলীগ পরিচয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু তাদের রেহাই দেওয়া হয়নি। একইভাবে ফেনীর নুসরাত কাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগের কাউকেই রেহাই দেওয়া হয়নি। তাদেরও শাস্তির সম্মুখীন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের অনেক এমপি-মন্ত্রীকেও আদালতে হাজির হতে হয়েছে। এবং তাদের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হচ্ছে। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। ধর্ষকের একমাত্র পরিচয় সে অপরাধী, সে দুর্বৃত্ত। ধর্ষণ রোধে আমাদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তবে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবাইকে বলব, ধৈর্য ধরতে। প্রতিবাদ করার দরকার নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে রেহাই দিচ্ছে না। আপনারা শুধু বলুন কোথায়, কি অপরাধ হয়েছে। সরকারের গোচরে না থাকলে সরকার অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করে খুঁজে বের করবে এবং ব্যবস্থা নেবে।’ করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আগামী দিনে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনা মহামারি কখন আরও খারাপ অবস্থায় চলে যাবে, সেটা এই মুহূর্তে কেউ প্রেডিক্ট করতে পারছে না। সচেতনতাই হচ্ছে করোনা প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার।’

সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন