বিজ্ঞাপন

‘এফডিআরের লাখ লাখ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে আসবে’

October 6, 2020 | 10:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: এফডিআরের তুলনায় লভ্যাংশ বেশি হওয়ায় মানুষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দিকে ঝুঁকে পড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এফডিআরের লাখ লাখ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে চলে আসবে। কারণ মানুষ যখন দেখবে এফডিআরের ৫ থেকে ৬ শতাংশের বিপরীতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ১০ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে, তখন তারা এদিকে ঝুঁকবে। এতে করে সামনের দিনগুলোতে বাজারে লেনদেন অনেক বেড়ে যাবে। এ জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডে সুশাসন আনতে হবে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ উপলক্ষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই‘র সিএফও আব্দুল মতিন পাটোয়ারি। আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসই‘র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান, শাকিল রিজভীসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ডিএসইতে লেনদেন একহাজার কোটি টাকার আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে লেনদেন দেড় হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যেতে হবে। এজন্য ডিএসই’র আইটি বিভাগের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। তাদের কারণে মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাঝেমধ্যেই ওয়েবসাইট দেখা যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের কমিশনে দায়িত্ব নেওয়ার বয়স মাত্র চার মাস। আমরা আগামী এক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে পরিবর্তন দৃশ্যমান করার চেষ্টা করব। দুই বছরের মধ্যে মডার্ন ক্যাপিটাল মার্কেটের ছায়া দেখতে পাবেন। আগামী তিন বছরের মধ্যে বাজারের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক শিবলী বলেন, ‘জেড’ ক্যাটাগরির সব কোম্পানির সঙ্গে আমাদের কমিশন আলাদা আলাদাভাবে মিটিং করেছে। কেউ কেউ ‘জেড’ থেকে বেরিয়ে আসছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে অনেকেই বেরিয়ে আসবে। এই কাজ শেষে ওটিসি মার্কেট নিয়েও বসব। সেখান বের করে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করব।

আইসিবি পুনর্গঠনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আইসিবি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছে না। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় বেশকিছু ঘাটতি দেখতে পেয়েছি। এ নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। এই সমস্যা কাটিয়ে আইসিবিকে দ্রুত পুনর্গঠন করা হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২৫-২৬টি আইপিও জমা ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি এক থেকে তিন বছরের পুরোনো আইপিও, যে কোম্পানিগুলো বারবার অ্যাকাউন্টস জমা দিচ্ছিল। এতে করে প্রতিবার ৫ থেকে ২০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছিল। কিন্তু ওইসময়টায় আইপিও দেওয়া হয়নি। এখন আমরা আইপিও দিই বা না দিই, সেটা তো কোম্পানিগুলোকে জানাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রকিবুর রহমান বলেন, বিএসইসি‘র নেতৃত্বে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। এতে করে দুষ্ট লোকেরা সরে যাচ্ছেন। বর্তমান কমিশনের নেতৃত্বে আমি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেখছি। এর আগে ৪০ বছর শুধু স্বপ্নই দেখেছি। এই কমিশনের নেতৃত্বে আমি অভিভূত। তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ বাজারের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তারা মাত্র চার মাসেই বাজারের জন্য অনেক ভূমিকা রেখেছেন। তবে এখনো কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। এগুলো সমাধানে তাদেরকে কিছুটা সময় দিতে হবে।

শাকিল রিজভী বলেন, আমরা ব্রোকাররা বিনিয়োগকারীদের চা-বিস্কুট খাওয়াচ্ছি। তাতে তাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা হচ্ছে না। বরং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্রোকারদের অবশ্যই ব্যবসার স্বার্থে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেয়া উচিত। আমাদের মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের সেবা ও সন্তুষ্টির চেয়ে সঠিক পোর্টফোলিও দিয়ে বিনিয়োগ সুরক্ষা দেওয়া দরকার।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন