বিজ্ঞাপন

চুরাশির পর এটাই সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা

March 12, 2018 | 10:00 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে বিমান দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। যারা আন্তর্জাতিক খবরের পাঠক তারা হরহামেশাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছোট-বড় বিমান দুর্ঘটনার খবর পড়েন। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার খবর কমই বলা চলে। কালেভদ্রে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় অনেকে নিহত হলেও যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা হাতেগোনা।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট ও উইকিপিডিয়ার বরাতে জানা যায়, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে যাত্রীবাহী বিমান যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৯৮৪ সালে ঘটে এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা। ওই বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘ফকার এফ২৭-৬০০’ দুর্ঘটনায় পড়ে। চট্টগ্রাম থেকে ফিরে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় বিমানবন্দরের পাশের একটি মাঠে দুর্ঘটনায় পড়ে বিমানটি। এতে নিহত হন বিমানে থাকা ৪৯ জন। এর মধ্যে বিমানের যাত্রী ছিলেন ৪৫ জন, বাকিরা ওই বিমানের ক্রু।

এরপর ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে আবারও দুর্ঘটনার শিকার হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এবারের ঘটনাস্থল সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। জরুরি অবতরণের সময়ে ‘ফকার এফ২৮’ মডেলের বিমান কুয়াশার কারণে রানওয়ের পাশের ধানক্ষেতে পড়ে। এতে বিমানটি মাঝখান থেকে দুভাগ হয়ে গেলেও কেউ নিহত হননি। বিমানে থাকা ৮৫ জন যাত্রীর মধ্যে আহত হন ১৭ জন।

বিজ্ঞাপন

এরপরে ২০০১ সালে আবারও সিলেট বিমানবন্দরে কুয়াশার কারণে একই বিমান পরিচালন সংস্থার একই মডেলের বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। তবে এবারও কেউ নিহত হননি।

এরপরে ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর আবারও সিলেট বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা ঘটে। এবারও আবারও ‘ফকার এফ২৮-৪০০০’ মডেলের বিমান আলোচনায়। বিমানটি সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে নামতে গিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে যায়। কিন্তু এতে বিমানের থাকা ৮৩ জনের মধ্যে ৮ যাত্রী আহত হন।

বিজ্ঞাপন

সবশেষ দেশের মাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি। এবারও ঘটনাস্থল সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সে সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে আসা ‘বিজি-৫২’ বিমানের ইঞ্জিনে ঢুকে পড়ে একটি পাখি। এতে বিমানটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। একই বছরের ৯ মার্চ কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি কার্গো বিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৪ জন ক্রু প্রাণ হারান।

সবশেষ আজ ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হল। এতে ৫০ জনেরও বেশি আরোহী প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

সারাবাংলা/এসবি/আইজেকে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন