বিজ্ঞাপন

৮০ লাখ টাকা উদ্ধার: ডিআইজি পার্থের বিচার শুরু 

November 4, 2020 | 3:07 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট 

ঢাকা: সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপালের বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জগঠন করেছেন আদালত। এ চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামি ১৮ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

এদিন ডিআইজি পার্থকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করেন। বিচারক শুনানি শেষে আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের নির্দেশ দেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ডিআইজি পার্থের কাছে জানতে চান, তিনি দোষী না দির্দোষ। এসময় ডিআইজি পার্থ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার দশ নম্বর বিশেষ জজের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী চার্জগঠনের তারিখ পেছানোর আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি উল্লেখ করেন, নতুন আইনজীবী  হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে, গত ৩১ আগস্ট ঢাকানমহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আসামির উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। চার্জগঠন শুনানির জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে ২৪ আগস্ট চার্জশিট জমা দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালর ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। দুদকের পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি দল পার্থ গোপালের বাসায় অভিযান চালায়।

অভিযানে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/টিসি

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন