বিজ্ঞাপন

‘ফিটনেস নিয়ে এখন সবাই সচেতন’

November 9, 2020 | 5:55 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ক্রিকেটে ফিল্ডিং বিষয়টাকে একটা সময় ‘সৎ ভাই’ মনে করা হলেও আধুনিক ক্রিকেটে এটার গুরুত্ব অনেক। কয়েকটা রান সেভ করাকে এখন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মনে করা হয়। ঠিক একইভাবে ব্যাটিংয়ে সিঙ্গেলের জায়গায় ডাবল নিয়ে নেওয়াকেও গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয়। এসব কারণেই আধুনিক ক্রিকেটে ফিটনেস প্রথম শর্ত। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটেও এই বিষয়ে অনেক অগ্রতি হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ক্রিকেটারদের বাড়তি মেদ দেখা যায় না বললেই চলে। অনেকদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস বললেন, দেশের সকল পর্যায়ের ক্রিকেটাররাই এখন ফিটনেস নিয়ে সচেতন।

বিজ্ঞাপন

আসন্ন পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী টেস্টের প্রথম দিন শেষ হয়ে গেল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজে বিপটেস্ট দিয়ে নাফিস সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন, ‘আপনার শেষ দুই তিন মৌসুম ধরে বাংলাদেশের নির্বাচকরা কিন্তু মোটামুটি একটা বেঞ্চ মার্ক ধরে দিয়েছেন। আগে ছিল ন্যাশনাল লিগের জন্য ছিল ১০.৫ (পয়েন্ট) এবং এই টুর্নামেন্টের জন্য ১১। এটা ওভারঅল যে প্লানটা আমার কাছে মনে হয় পজেটিভ। প্লেয়াররা ফিটেনেসের ব্যাপারে সচেতন হবে। যখন তারা বাসায় থাকবে তারা আরও বেশি কাজ করবে।’

নাফিস বলেন, ‘সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক ব্যাপার হলো যে আমি সেকেন্ড রাউন্ডে ছিলাম, ফার্স্ট রাউন্ডে ৭ জন ছিল, পরের রাউন্ডে ৭ জন। ১৮ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন ১১ রিচ করতে পারে নাই। আর সবাই ১১ রিচ করতে পেরেছে। এটা দিয়ে একটা জিনিস প্রমাণ হয়, বাংলাদেশের যারা জাতীয় দলের আছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন, তারাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। ফিটনেস নিয়ে, স্কিল নিয়ে।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের হয়ে ২৫ টেস্ট, ৭৫ ওয়ানডে ও ১ টি-টোয়েন্টি খেলা টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমাদের সুযোগ-সুবিধার একটু দুর্বলতা রয়েছে। আমাদের যখন থেকেই ১১ বেঞ্চ মার্ক সেট করে দিয়েছে তখন থেকেই কিন্তু অনেকে সচেতন হয়েছি। আজকের ফিটনেস টেস্টে দেখা যাচ্ছে যে প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ ক্রিকেটার হয়তো পাশ করে যাবে। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য পজেটিভ।’

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএইচএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন